১৭ বছর পর মজুমদারমুক্ত এক্সিম ব্যাংক

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এবার এক্সিম ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক; যার মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলাম মজুমদারের বলয় থেকে বের হল শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ভেঙে দিয়ে ৫ সদস্যের নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। নতুন পরিচালকদের মধ্যে শেয়ারধারী পরিচালক তিনজন। তারা হলেন মো. নুরুল আমিন, নজরুল ইসলাম স্বপন ও অঞ্জন কুমার সাহা। আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এস এম রেজাউল করিম ও সনদধারী হিসাববিদ খন্দকার মামুনকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫ পরিচালকের মধ্য থেকে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হবে। খবর বিডিনিউজের
ব্যাংক খাতের আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম মজুমদার ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তিনি নাসা গ্রুপেরও চেয়ারম্যান। বিএবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
নতুন গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুর যোগ দেওয়ার পর থেকে এক্সিমসহ এখন পর্যন্ত সাতটি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি ও এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে প্রথম ৫টি ব্যাংকই এ খাতের আলোচিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন নতুন গভর্নর আহসান মনসুর। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেছেন, যেসব ব্যাংকে অস্থিরতা রয়েছে সেসব ব্যাংকে পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে। ইসলামী ব্যাংকে নানা রকমের অনিয়ম ঘটেছে। এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া আরও কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুনভাবে পুনর্গঠন করা হবে। এর পরই ঋণ অনিয়ম ও প্রভাব খাটিয়ে পর্ষদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোর নতুন পর্ষদ গড়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে ধারাবাহিকতায় ব্যাংক খাতে এতদিন প্রভাবশালী হিসেবে আলোচিত নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিনি বিদেশে চলে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।