শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আমীর খসরু এবং বাংলাদেশের রাজনীতির অধুনা আমীর

5

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

পাতিয়ালার বিশ্ববিশ্রুত কলাকার আমীর খসরু (১২৫৩-১৩২৫) ভারতে শুদ্ধ সংগীত বা মার্গ সংগীতের প্রবর্তন করেন। এই সময়ের চৌকস দুঁদে রাজনীতিবিদ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন ধরনের আমিরী ঘরানার সূচনা করেছেন। সাবেকি আমলের কোন আমীর ওমরাহর পুত্র নন তিনি; চট্টগ্রাম মহানগরের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা মাহমুদুন্নবী চৌধুরী তাঁর পিতা। মহানগরের কাট্টলী ওয়ার্ডে তাঁর পৈত্রিক নিবাস, জন্মও সেখানে। চার পাঁচশো বছর পূর্বে কাট্টলী ছিলো একটি গ্রাম। তার নামও তখন কাট্টলী ছিলো না। কথিত আছে যে মোগল সম্রাট শাহজাহানের চারপুত্রের তৃতীয় শাহ সুজা মোগল সিংহাসনের উত্তরাধিকারের দ্ব›েদ্ব ভ্রাতাদের সঙ্গে পরাজিত হয়ে আরাকান অভিমুখে পলায়নকালে তাঁকে ক্ষণকাল তিষ্ট হতে দেখা যায় বাঁশখালী থানার সাধনপুর গ্রামে। সেখান থেকে আকিয়াবের উদ্দেশ্যে সুজার অনুগমন না করে তাঁর এক সেনাপতি ইলিয়াস খাঁ লোকস্কর নিয়ে থেকে যান। ইলিয়াস খাঁর অন্যতম পুত্র মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন খান প্রকাশ জিনুদ্দিন খান। তাঁর পুত্র মোহাম্মদ হাসেম খান চৌধুরী। তাঁর পিতাসহ ইলিয়াস খাঁ প্রথমে সন্দ্বীপে, পরে কাট্টলী গ্রামের বর্তমান বিশ্বাসপাড়া, কিছুদিন পরে কাট্টলীর বর্তমান স্থানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন। তিনি ঐ গ্রামকে পৈতৃক গ্রামের নামে সাধনপুর বলে অভিহিত করেন। সাধনপুর থেকে কাট্টলী নামের উদ্ভব। তারও কারণ আছে। কাত্টুলী থেকে গ্রামের নাম হয় কাট্টলী। কাত্ অর্থ শিক্ষিত, টুলী অর্থ স্থান। অর্থাৎ চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে কাত্টুলী ছিলো একমাত্র শিক্ষিত লোকের স্থান। এই কাত্টুলীর অপভ্রংশই ‘কাট্টলী’ আখ্যাপ্রাপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের শেষ নবাব রেজা খাঁর আমলে চট্টগ্রামের সিংহভাগ সম্পত্তির অধিকারী নওয়াব রেজা খাঁর প্রতিনিধি এ অঞ্চলের মীর কোতোয়াল ও সাহেবে দেওয়ান হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন ইলিয়াস খাঁর পৌত্র মুহাম্মদ হাশেম খান চৌধুরী। তিনি হাশিম নাজির নামে খ্যাত ছিলেন।
এই হাশিম নাজিরেই প্রপৌত্র হলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কালে কালে এই বংশে অনেক জ্ঞানী, গুণী, শিক্ষাবিদ, রাজপুরুষ, এমএলএ, এমপি, মন্ত্রী, ধনাঢ্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতির জন্ম হয়। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে আমীর খসরুর পিতা মাহমুদুন্নবী চৌধুরী ছিলেন ব্যবসায়ী। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের পর বাংলার নেতারা যুক্তফ্রন্ট গঠন করে ১৯৫৪ খিস্টাব্দের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নিলে মাহমুদুন্নবী চৌধুরী (সংক্ষেপে নবী চৌধুরী) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের হাত ধরে যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে এমএলএ নির্বাচিত হন এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিযুক্ত হন। একই সময়ে নাজির বংশের আরেকজন কীর্তিমান পুরুষ নুরুল হক চৌধুরীও এমএলএ নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রী নিযুক্ত হন। এক বাড়ি থেকে দু’জন মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়া একটি বিরল ঘটনা।
নবী চৌধুরী ষাটের দশকে সর্বদলীয় নেতা হিসেবে চট্টগ্রামে বিরোধী দলীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেন। তিনি চট্টগ্রামের চারটি ট্রেড বডিকে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠনে রূপান্তরিত করতে চট্টগ্রামের আরো ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উদ্যোগ নেন। তিনি পরে চেম্বারের সভাপতি নিবাচিত হন। তাঁর দু’পুত্র আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীও বাংলাদেশ আমলে চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। নবী চৌধুরীর প্রথম দু’পুত্র ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতি করতেন। জ্যেষ্ঠ পুত্র আবদুর রাজ্জাক মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি পরে ইংল্যান্ড চলে যান এবং সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে থেকে যান। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হচ্ছেন দ্বিতীয় ও মেজ পুত্র। তিনি চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগ করতেন এবং দলের অন্যতম নেতা ছিলেন। খসরু পরে উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য বিদেশে চলে যান। বিদেশ থেকে লেখাপড়া শেষ করে দেশে এসে তিনি পারিবারিক ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন। আমীর খসরু স্বাধীনতার পরে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাথে যুক্ত হন। আশির দশকে তিনি চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন এবং চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এক্সচেঞ্জ ফেডারেশনের প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ততদিনে তিনি জাতীয় রাজনীতিতেও অংশ নিতে থাকেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজনীতি আরম্ভ করলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে আমীর খসরু তাঁর রাজনৈতিক চিন্তার সাযুজ্য খুঁজে পান। তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে থাকেন। দলীয় রাজনীতিতে আমীর খসরু খুব দ্রুত উন্নতি করেন। চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমান, কর্নেল অলি, মোরশেদ খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী-এই চারজন বড়ো নেতা ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে। অলি বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তিনজনÑখসরু, মোরশেদ খান, নোমান; প্রথমদিকে দলীয় রাজনীতিতে খসরুর চেয়ে অন্যদের প্রভাব ও গুরুত্ব ছিলো বেশি। ব্যবসায়ী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসার কারণে খসরু নিজেও হয়তো প্রথম দিকে রাজনীতিটা তেমন গুরুত্বের সাথে নেননি। কিন্তু ক্রমান্বয়ে তিনি সিরিয়াস হতে থাকেন। তিনি প্রথমে মহানগর বিএনপির আহবায়ক হলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও অংশ নিচ্ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনে মাইনাস ওয়ান, টু, সংস্কারপন্থী ইত্যাদি হুজুগ চলার মধ্যে ২০০৮-এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নেতারা একে একে মামলায় আটক এবং কারো কারো সাজা হতে থাকলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে চলে যান এবং সেখানে থেকে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন। তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারম্যান খালেদা জিয়াও মামলার শিকার হন। তাঁর সাজা হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি দীর্ঘ অসুখের মধ্যে কখনো গৃহবন্দি কখনো হাসপাতালে অনেকগুলো বছর কাটিয়ে দেন। এর মধ্যে বিএনপির রাজনীতি পুরোপুরি তারেক রহমানের কব্জায় এসে যায়। মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তিনিও ফেরার হয়ে যান। নোমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটাই খসরুকে দলীয় নেতৃত্বে শক্ত ও পাকাপোক্তভাবে বসে যাওয়ার জন্য মোক্ষম সুযোগ এনে দেয়। তিনি সুযোগটা লুফে নিতে দেরি করেননি। এই সময় খসরু ব্যক্তিগত জীবনের ওপরও ঝুঁকি নেন। তিনি তো বড়লোকের ছেলে, নিজেও ব্যবসা-বাণিজ্য করে বিত্তশালী হয়েছিলেন; তাঁর পিতা নবী চৌধুরী যেমন তাঁর রাজনীতির এক পর্যায়ে ড্রয়িং রুম থেকে মাঠে নেমে এসেছিলেন; খসরুও তেমনি মাঠের রাজনীতিতে নেমে গিয়েছিলেন। প্রায় প্রথম থেকেই তিনি মাঠে-ময়দানে, রাজপথে মিটিং-মিছিলে বজ্রমুষ্টি উত্তোলন করে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতে দিতে রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেন। কিভাবে তিনি গায়ে ধুলাবালি, কাদা লাগানোর রাজনীতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন, তা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। চট্টগ্রামের একটি বিশিষ্ট ধনী ও জমিদার পরিবারে সোনার চামচ মুখে নিয়েই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলতে হয়। পড়েছেন ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে, সেখান থেকে স্নাতক হয়ে লন্ডনে গিয়ে হিসাব বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে বেশ কিছুটা সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের অঙ্গনেই কাটিয়ে তারপর না তাঁর রাজনীতিতে আগমন। পোশাকে ধোপধুরস্থ চলাফেরায় কেতাদুরস্ত সেই মানুষটি রাতারাতি নিজেকে পাল্টে ফেলে আম জনতার কাতারে মিশে গেলেন। হিসাব বিজ্ঞানের মাথা দিয়ে তাঁর বুঝতে কষ্টে হয়নি যে, সময় পাল্টাচ্ছে। তিনি বেশ বুঝতে পারলেন রাজনীতিতে এক নতুন দিনের আগমনী হাওয়া এসেছে; বিএনপির রাজনীতিতে নতুন যুবরাজের রাজ্যাভিষেক ঘটে গেছে। তারেক রহমানের হাতেই আগামী দিনের বিএনপি’র নেতৃত্ব, ম্যাডামের বয়স হয়ে গেছে, রোগব্যাধিতে জর্জরিত শরীর। তিনিও ছেলের হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে দিয়ে বিশ্রাম নিতে চান। ৮১-তে শহীদ জিয়াকে হারানোর পর থেকে একটানা প্রায় ২৪ বছর রাজনীতির উথাল পাতাল সমুদ্রের টালমাটাল হাওয়ায় তরণী বেয়ে খালেদা জিয়া বিএনপিকে কত উঁচুতে না নিয়ে এসেছেন।
তো চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান খসরু ভাই তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করে ঢাকায় গত কয়েক বছরের কঠিন সময়টা পাড়ি দিতে দলের হাল ধরে ছিলেন শক্ত হাতে। ভাবতে অবাক লাগে সুন্দর মানুষটি কতবার পুলিশের মার খেয়ে একবার প্রিজন ভ্যানে করে একবার জেলে একবার আদালত করতে করতে করে যন্ত্রণাবিদ্ধ দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিলেন। শরীরে পুলিশ ও সন্ত্রাসীর নির্যাতনের মারের দাগ শুকায়নি; তাঁর অমানুষিক পরিশ্রম, অপরিসীম ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মানুষটিই না আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর পর কোন বিশ্রাম না নিয়ে তিনি আবার রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতিতে লেগে গেছেন। তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রামে যাঁরা রেসে ছিলেন, তাঁদেরকে অনেক দূরে ফেলে এসেছেন তিনি। কেন্দ্রেও কত নেতাই ছিলেন-রুহুল কবির রিজভি, মির্জা আব্বাস, বরকতউল্লাহ বুলু, গয়েশ্বর রায়, সিনিয়র ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান- বিএনপির এতসব আলোকিত নেতাদের মধ্যে অবস্থান করেও খসরু ভাই’র স্থান বেশ উঁচুতে। মির্জা ফখরুলের পরেই বিএনপির নেতৃত্বের প্রটোকলে তাঁর স্থান। বিদেশি রাষ্ট্রদূত অতিথিদের সঙ্গে বিএনপি’র হয়ে তিনিই কথা বলেন। তাবৎ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিনিই তারেক জিয়ার আস্থাভাজন বলিষ্ঠ ডাইনামিক নেতা। তিনিই তারেক জিয়ার খলিফা। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপর্যুপরি তিনবার চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
আমীর খসরু চট্টগ্রামে দক্ষিণ কোরিয়ার অনারারি কনসাল, সোনালী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ শিল্প বিভাগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের প্রজেক্ট এপ্রেইজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, চিটাগাং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, রোটারি ক্লাব অব আগ্রাবাদের চেয়ারম্যান, এক্সপোর্ট ক্রেডিট মনিটরিং কমিটি, বাংলাদেশ-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিনিধি সেমিনারে বক্তা হিসেবে সম্মানের সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর কর্মের জন্য তিনি অনেক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশংসাপদক পেয়েছেন। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘শিল্পায়ন ও সমাজসেবায়’ ‘শেরে বাংলা জাতীয় পুরস্কার সম্মান স্মারক পদক’ লাভ। তিনি শিল্প সংস্কৃতির একজন শুভানুধ্যায়ী ও পৃষ্ঠপোষক। মাহমুদুন্নবী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা