লিচুবাগান- দোভাষীবাজার সড়ক খানা-খন্দকে চলাচল অনুপযোগি

8

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার সড়কটি খানাখন্দকে চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে দোভাষী বাজার লিচুবাগানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নারী- পুরুষ নানা কাজে এখানে আসে। সড়কটি দিয়ে দোভাষী বাজার ডাক্তার পাড়া, চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতাল, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল, কর্ণফুলী পেপার মিল, রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সড়কটির গুরুত্ববহন করে। সড়কটির বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ছোট বড় খানা খন্দকে জন ও যান চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রোগী বহনকারী যানবাহন গর্তে আটকা পড়ে সীমাহীন দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। গত ৩ বছর আগে সড়কটি কার্পোটং করা হয়। নি¤œ মানের কাজ হওয়ায় সড়কে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হযেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে জন ও যান চলাচল অচল হয়ে পড়ে। এক সময়ের ‘নোয়া শহর’ দোভাষী বাজারের সেই আগের জুলুস নেই। তারপরেও দীর্ঘ ১ কিলোমটিার সড়কটি দিন দিন বিটুমিন ঢালাই উঠে বেহাল হয়ে পড়ছে। এতে যাতায়াতকারীদেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দোভাষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী জানান, সড়কের মোস্তফা মার্কেটের সামনে আলম মার্কেটের সামনের অংশ দোভাষী বাজার মসজিদ সড়ক, আল মদিনা মার্কেটের সামনে খানা খন্দকে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে ইট- বিটুমিন উঠে গর্তেও সৃষ্টি হয়েছে। যেকারণে সড়কটির কার্পেটিং কিংবা পুনঃসংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দোভাষী বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারটি থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব নেয় তার সিকি পরিমাণ উন্নয়নও করেনা।
লিচুবাগান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুন সওদাগর জানান, সড়কের লিচুবাগান অংশে, লিচুবাগান মসজিদ অংশে, পাঞ্জাবি গলির সামনের অংশে, রাজ সিটি মার্কেটের সামনের অংশে, চৌধুরী মার্কেটের সামনে অংশে সড়কের ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে নানা যানবাহন পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর জানান, সড়কটি আমার ইউনিয়নের জন্য খুবই গুরুর্ত্বপূর্ণ। সড়কটি আবারও পুনঃসংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্য সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেরা প্রকৌশল বিভাগ।