চন্দনাইশে তদারকি নেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ উপজেলা গড়ে উঠেছে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তদারকি করার মতো কেউ নেই বললেই চলে।
অনেক সময় ভুলে ভরা রিপোর্ট নিয়ে বিপাকে পড়ছে অনেক রোগী। এ ভুল চিকিৎসার পিছনে দৌঁড়াতে গিয়ে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি আর্থিকভাবে নিঃস্ব হচ্ছে । চন্দনাইশে নিয়ম না মেনেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। হাতে গোনা কয়েকজন লোক নিয়ে যেখানে সেখানে গড়ে উঠায় এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার মূলতঃ ব্যবহৃত হচ্ছে ডাক্তারের চেম্বার হিসেবে। রোগী দেখার পর ডাক্তারের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে থাকেন ডাক্তারেরা। ডাক্তারদের ঐ সেন্টারে পরীক্ষাগুলো করার বাধ্যবাধকতা করা হয়। চন্দনাইশে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র থাকলেও অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রশিক্ষিত নেই কোন টেকনিশিয়ান। তাই কোন রকমে কাজ শেখার পর এখানে টেস্টের পরীক্ষা নিজেই করছেন ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মচারীরা। এ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্টাসনোগ্রাফী, ইসিজি, আর সি এস, সিবিসি, সিআর টিকেনিংসহ বিভিন্ন টেস্ট করা হয়। কিন্তু এ সকল টেস্ট করানোর জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার চন্দনাইশে না থাকায় চট্টগ্রাম থেকে অনলাাইনের মাধ্যমে ফলাফল নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নবায়ন করা হয়েছে কিনা, তাদের কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা? দেখার জন্য দপ্তর থাকলেও তারা কোন রকম তদারকি করছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। চন্দনাইশের দোহাজারীতে গ্রামীণ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেভলন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেইভ হেলথ্ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাঙ্গু ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশনাল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাতবাড়িয়া গ্রামীণ কল্যাণ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বরমা গ্রামীণ কল্যাণ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গাছবাড়িয়াতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চন্দনাইশ সদরে চেকআপ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাদামতলে আল শকরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাতঘাটিয়া পুকুর পাড় এলাকায় চন্দনাইশ মেটানেটি শিশু জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নবায়ন ও কাগজপত্র দেখার জন্য দপ্তর থাকলেও সময়মত তদারকি হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাছাড়া হাসপাতালের আশেপাশে ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের বিধান না থাকলেও চন্দনাইশ সদর ও দোহাজারীতে গড়ে উঠেছে এবং নতুনভাবে গড়ে উঠতে যাচ্ছে আরো একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ ব্যাপারে সচেতন মহল পরবর্তীতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন দেয়ার সময় সকল প্রকার কাগজপত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে দেয়ার জন্য এবং চলমান ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিদর্শন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।