আছেন যারা নেই আ.লীগ

19

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দিলেও ছিলেন না আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাদের কেউ।
বঙ্গভবনের দরবার হলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ পড়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন অতিথিরা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ পড়ান। খবর বিডিনিউজের।
দরবার হলে প্রথম সারির মাঝখানে বসেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহধর্মিনী অধ্যাপক আফরোজী ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার বাম দিকে বসেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, এরপর বসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টারা বসেন। প্রধান উপদেষ্টার ডান দিকে ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁন।
এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান,এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ।
দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
একই সারিতে সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মোস্তাক হোসেন, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, সাবেক অর্থনমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বাসদের খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
দ্বিতীয় সারিতে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানও ছিলেন। হুইল চেয়ারে করে এ সারিতে বসেন ড. কামাল হোসেন।
এরপর তৃতীয় সারিতে বসেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেখা যায়নি। তার আসনটি শূন্য ছিল।
অপরদিকে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বঙ্গভবনে আসলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘ভুয়া, ভুয়া’ ধ্বনি আর তোপের মুখে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।
১/১১ এর পট পরিবর্তনের পর থেকে দীর্ঘ সময় পর বঙ্গভবনের কোনো শপথ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দেখা গেল। সবশেষ ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শপথ অনুষ্ঠান বিএনপি বর্জন করে।