অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতিকে কঠিনভাবে উপস্থাপন করেন

13

চবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশের অর্থনীতিবিদরা বর্তমানে অর্থনীতিকে কঠিনভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আমি এটাকে একেবারে সহজভাবে উপস্থাপন করেছি।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলন-২০২৪’ এর সমাপনী দিনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে যাচ্ছে।এরকম একটা সময় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এতো তরুণ লেখক শিক্ষার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছেন, যা সত্যি গর্বের। যারা লেখক হবেন, তারা একাডেমিক ক্লাসে শিক্ষা নিবেন, পাশাপাশি সমাজের চারপাশ সম্পর্কেও সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
তরুণ লেখকদের উদ্দেশে ড. আতিউর রহমান বলেন, ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন। কোনো একটা বিষয় লেখার পর নিজেকেই সংশোধন করতে হবে, লেখেই জমা দেওয়া যাবে না। এমন লেখা লেখতে হবে, যাতে পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়। এ জন্য বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে অনুপ্রেরণা নিতে হবে। লেখার জন্য সুন্দর পরিবেশ খুঁজে বের করতে হবে। প্রিয় লেখকদের জীবনী পড়তে হবে। ভালো লেখক হতে নিজের সুন্দর একটি দৃষ্টিকোণ তৈরি করতে হবে। গঠনমূলক সমালোচনা জীবনে গ্রহণ করতে হবে, এতে ভুলগুলো সংশোধন করা যাবে। লেগে থাকুন, তবেই লেখক হতে পারবেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক গিরেন্দ্র চক্রবর্তী ও কারিশমা ইরিনের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইত্তেখারুল ইসলাম সিফাতের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। বিশেষ অতিথি চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক আবুল মোমেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, লেখক হতে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও অনুশীলনে থাকতে হবে। লেখককে প্রচুর পরিমাণ বই এবং নিউজ পেপার পড়তে হবে। একজন লেখকের নিজস্ব স্টাইল থাকতে হবে। পৃথিবীর বিখ্যাত লেখক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বই পড়তে হবে। আমাদের দেশে অনেক ভালো লেখক রয়েছেন, তাদের বই পড়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে এবং নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, তরুণরা ফুলের পাপড়ি হয়ে আস্তে আস্তে ফুটবে। আমরা এক সময় থাকবো না, তবে তরুণরা থাকবে। আপনি যা লেখেন, তার মধ্যে যদি সংকীর্ণমনা থাকে, তাহলে কখনও আপনার লেখা মানুষের মুক্তির পাথেয় হবে না। পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীদের বইগুলো আপনাদের অবশ্যই পড়তে হবে। বিভিন্ন লেখক এবং ব্যক্তিদের আত্মজীবনী পড়তে হবে। আপনারা পড়বেন এবং লেখবেন মানুষের মুক্তির জন্য।
অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে লেখকরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি কলামের মাধ্যমে তুলে ধরেন। আমাদের ভবিষ্যত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের তথ্য-প্রযুক্তির পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অনুশীলন করে চারপাশ দেখে এবং পড়ে শিখতে হবে। আমাদের দেশের যুবসমাজ মাদকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে। আপনাদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে সেচ্চার এবং প্রতিরোধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের উপ-সম্পাদক কাজী আবুল মনসুর, কলামিস্ট কামরুল হাসান বাদল।