১৬ কোটির সেই গাড়ির দাম উঠল ৪ কোটি

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিলাসবহুল গাড়ি ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকার একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ নিলামে তুলেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নিলামে গাড়িটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে চার কোটি এক লাখ টাকা। চার জন বিডারের মধ্যে এ গাড়িটির সর্বোচ্চ দাম দিয়েছে যমুনা শিপ ব্রেকারস।
একইভাবে নিলামে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। নিলামে ১২জন বিডারের মধ্যে এ গাড়িটির পেতে সর্বোচ্চ দাম দেয় হ্যারি ফ্যাশন লিমিটেড। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এ নিলামে বিলাসবহুল গাড়ি দুটিসহ ৪৫ ধরণের পণ্য তোলা হয়।
কাস্টমসের নিলাম শাখার তথ্যমতে, নিলামে বিভিন্ন ধরনের নিটেড, ওভেন, নন ওভেন, পলিয়েস্টার, ডায়েড, কটন, রেয়ন, ডেনিম ফেব্রিকস, লেডিস সু সোল, সিরামিকের ফুলদানি, ক্র্যাফট কার্টন, পিভিসি শিট, পার্টস অব অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম, ডাইসোডিয়াম সালফেট, পুরোনো কম্বল, কাপড়, ইঞ্জিন অয়েল, টাইলস, সিকিউরিটি ট্যাগসহ ৪৬ লটের পণ্য তোলা হয়। এর মধ্যে ফেব্ররিকের লটটি নিলাম শেষ হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয়।
তথ্যমতে, এবারের নিলামে তোলা ৪৫ লট পণ্যের মধ্যে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ২ হাজার ৭৬৮টি কন্টেইনারে ৪৪ হাজার ২৮৮ টন, ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৭০টি কন্টেইনারে ৬৩ হাজার ৪০০ টন। আমদানিকারকেরা পণ্যগুলো খালাস না করায় দীর্ঘদিন ধরে কন্টেইরাগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে আছে। এ ছাড়া ৩ হাজার ৩৯০ টন ওজনের ৭০ হাজার ৩৯০ প্যাকেজ এলসিএল কার্গো এবং ৫ হাজার ৪৫০ টন ওজনের ৬ হাজার ৮৪৬ প্যাকেজ খোলা (বাল্ক) পণ্য নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা আগামী নিলামে তোলা হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের নিলামে ২৭ জন দরদাতা অংশগ্রহণ করে। নিলামে দু’টি বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি সবার আকর্ষণ ছিল। এ ছাড়াও নিলামে আরও ৪৪টি পণ্য তোলা হয়। এসময় তিনি নিলামকে আরও গতিশীল করার জন্য কাস্টম হাউজ কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন।