বন্যা পরবর্তী আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পর্যালোচনা করছি

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, আমাদের মূল কাজ ছিল বন্যা-পরবর্তী অবস্থা নিয়ে করণীয় ঠিক করা। বন্যা নিয়ে আর আক্ষেপ আহাজারি না করে আগামীতে এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা কী প্রচেষ্টা চালাচ্ছি তা পর্যালোচনা করছি। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের কথা শুনেছি। চট্টগ্রামে বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে সব সংস্থার মধ্যে প্রচেষ্টা না থাকলে হবে না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে আমরা জোর দিচ্ছি। কারণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ থেকে সব পর্যায়ের সড়কগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া বন্যা-পরবর্তী অন্যান্য যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে। সেজন্য সব সংস্থাকে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরের ৯০ ভাগ লোকের জন্য পানি সরবরাহ করছে। বাকী ১০ ভাগ লোককেও পানি সরবরাহের আওতায় দ্রুত নিয়ে আসতে হবে। শুধু পানি সরবরাহ করলেই হবে না, সরবরাহকৃত পানির বিশুদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য যে সব পন্থা অবলম্বন করা দরকার, তা গ্রহণ করতে হবে।
দেশে সমবায় সমিতিগুলো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে হাসান আরিফ বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের সমবায় সমিতিগুলোর অন্তর্কোন্দল অনেক বেশি। উচ্চ আদালতের একটি উলে­খযোগ্য অংশের মামলা হচ্ছে সমবায় সমিতিগুলোর। যে সমিতি ৩ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয় দেখা যায় এই মামলাগুলোর কারণে তারা ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত থেকে যায়। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সমবায় সমিতিগুলো প্রতিষ্ঠা হয় এসব দ্বিধাবিভক্তি এবং অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য সমিতিগুলো সেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
ঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ এবং বিআইওডবিউটিএ’র দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে উপদেষ্টা বলেন, ঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ নিতেও দেখা যায়। ঘাটের ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি জাতীয়ভাবে পলিসি থাকা দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আনোয়ারা পাশা, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রাজিব হোসেনসহ চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।