চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা

13

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেফাঁস মন্তব্যের জেরে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু ইস্যুতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসকে ‘চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা’ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত’- মন্তব্যের জন্য এ মামলা করা হয়েছে। এমন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগীদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে বাদি সাবেক ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল মামলায় অভিযোগ করেছেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে গতকাল রবিবার মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে নিযুক্ত বাদির আইনজীবী অ্যাড. রেজাউল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া উচিত বলে অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদেরকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি হয়। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাদি মামলা না করলেও বর্তমানে যেহেতু বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে তাই নগর ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা বাদি হয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলার বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তটি যেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার নিচের কাউকে দিয়ে না করানো হয় সে বিষয়েও আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেআইনি পন্থায় সকল বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতেন। ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টায় জড়িত বলে অভিযোগ এনে দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দু’টি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া ও নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের উসকানি দিয়েছিলেন।