হাছান-নওফেল-ফজলে করিমসহ ৩১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

56

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সদ্য অপসারিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ ৩১৯ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
গত বুধবার (২৮ আগস্ট) নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত দোকান কর্মচারী মো. ফারুকের বাবা মো. দুলাল মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য অভিযুক্তরা হলেন, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চকবাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারি, পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাসুম, নগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নগরীর মুরাদপুরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন দোকান কর্মচারী ফারুক। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে তিনি কুমিল্লার চান্দিনার বাতাঘাসি ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চট্টগ্রামে ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন তিনি। ওইদিন ফারুক দুপুরে দোকান থেকে নগরীর বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন।
পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, নিহত দোকান কর্মচারী ফারুকের বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৬৯জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০জন থেকে ৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।