প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উদযাপনে ৪ দিনের কর্মসূচি

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মহানগর বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিসভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩১ আগস্ট সকাল ১১ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙ্গুনিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধা নিবেদন।
দ্বিতীয় দিন ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া সকালে দলীয় কার্যালয়সহ ৪৩টি ওয়ার্ড কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মাইকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার। তৃতীয় দিন ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র‌্যালি করা হবে।
এছাড়া চতুর্থ দম্প্রপ্রতিক বন্যায় হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অনুরূপভাবে ৪৩টি ওয়ার্ডের মসজিদেও সুবিধামত সময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের সামনে কিন্তু বড় সংগ্রাম, বড় লড়াই। সেই লড়াইটা হচ্ছে এ বিপ্লবের বিজয়কে সুসংহত করা। এ বিজয়কে যদি আমরা সুসংহত করতে না পারি, আবার কিন্তু নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজী বা অন্য কিছু করে, ক্ষতি করতে চায়, সেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, সর্বক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা যারা ভন্ডুল করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে এবং ভন্ডুলকারীদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করব না। বিএনপি সমস্ত অন্যায়কে প্রতিহত করবে। তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত রাঙ্গুনিয়া যাত্রা, আলোচনা সভা, র‌্যালি ও দোয়া মাহফিল কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান। এছাড়া দলীয় ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে নেতাকর্মীদেরকে দিক নির্দেশনা দেন।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ প্রমুখ।