এখনো পানিবন্দি ১২ লাখ পরিবার মৃত বেড়ে ২৭

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

সপ্তাহ খানেক ধরে দেশে যে বন্যা চলছে তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বেশির ভাগ জায়গায় পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো পানিবন্দি আছে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
তিনি জানান, বন্যায় নতুন করে চারজন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭। এর মধ্যে কুমিল্লায় মারা গেছে ১০ জন, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে পাঁচজন করে এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছে। এছাড়া ফেনী, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুরে মারা গেছে একজন করে।
উজানের তীব্র ঢল এবং অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে তা বিস্তৃত হয় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষীপুর ও কক্সবাজারে। খবর বিডিনিউজের।
আলী রেজা বলেন, বন্যায় বর্তমানে ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন।
দুর্গতদের জন্য তিন হাজার ৮৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি ৩৪ হাজার ৪২১টি গবাদি পশুও সেখানে আশ্রয় পেয়েছে।
আলী রেজা বলেন, দেশের সকল জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সকল পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীর বিভিন্ন নদীর পানি অন্তত আগামী ২৪ ঘণ্টা সমতল হ্রাস পাবে।
বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সাঙ্গু, মাতামুহুরী, কর্তফুলী, হালদাসহ অন্যান্য নদীর পানিও সমতল হ্রাস পেতে পারে বলে বুলেটিনে জানানো হয়েছে। দ্রুত রূপ বদলাচ্ছে নতুন ধরনের এমপক্স, দিশেহারা বিজ্ঞানীরা
ভাইরাসটি নিয়ে এখনও অনেক কিছুই অজানা থাকায় এটি ঠেকানো কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন আফ্রিকা, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশেষজ্ঞ।