ফটিকছড়ি-মিরসরাইয়ে ৭০ হাজার পরিবার পানিবন্দী

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়ে প্লাবিত এলাকা কমেছে। একদিনের ব্যবধানে ৪১ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এই দুই উপজেলাতেই এখনো ৭০ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি আছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ মানুষ। গত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ৬০ ইউনিয়নে সবমিলিয়ে ৭৫ হাজার ৯৩৮ পরিবার পানিবন্দি আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ২৮০ জন।
চট্টগ্রামের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার পূর্বদেশকে বলেন, কয়েকটি উপজেলা ও ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে এখনো পানি জমে আছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা বন্যা প্লাবিত এলাকার ঝুঁঁকিপূর্ণ জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে। বর্তমানে হালদা নদী ও ফেনী নদীর পানি বিপদসীমার উপর-নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুই উপজেলায় ৬০টি নৌযান উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪৭৫ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের’।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির ২০টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার ২০০ পানিবন্দি পরিবারের ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ, মিরসরাইয়ের ১২ ইউনিয়নের ৪০ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ, সীতাকুন্ডের ৬ ইউনিয়নের ২ হাজার ৭০০ পরিবারের ১২ হাজার মানুষ,হাটহাজারীর ৬ ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবারের ৭ হাজার মানুষ, বোয়ালখালীর ৩ ইউনিয়নের ১৮০ পরিবারের ১ হাজার ৫০০ মানুষ, বাঁশখালীর ৮ ইউনিয়নের ১ হাজার ৭৫০ পরিবারের ৮ হাজার ৭৫০ মানুষ, রাউজানের ৫ ইউনিয়নের ১০৮ পরিবারের ৩ হাজার মানুষ ও স›দ্বীপের ৩০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে ফটিকছড়িতে পানিবন্দি পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। হাটহাজারী ও সীতাকুÐে পানিবন্দি মানুষ কমেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫টি ও রাউজানের ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ চলে গেছে। ফটিকছড়িতে একদিনে ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। সেখানে এখন ৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু আছে। এছাড়াও মিরসরাইয়ের ৮২টি, হাটহাজারীর ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু আছে। ৩ উপজেলার ১৬৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ হাজার ১৪৮ পুরুষ, ৯ হাজার ১৫৬ নারী, ৫ হাজার ৩৫২ শিশু, ৬০ প্রতিবন্ধী মিলিয়ে ২২ হাজার ৭১৬ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ৫৪১টি গবাদিপশু আশ্রয়ে রয়েছে। গঠন করা ৪৮টি মেডিকেল টিমের মধ্যে ২৯টি টিম কাজ করে যাচ্ছে।