ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত

7

সরকার পতনের পর জেলায় জেলায় সরকারি বেসরকারি সম্পত্তিতে বেপরোয়া হামলা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা এসেছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে। আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুত দেশের সব থানার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয় জানিয়ে সবার সহযোগিতাও কামনা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট প্রবল গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে থানায় থানায় হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চলে। খবর বিডিনিউজের।
হামলা ও লুটপাট হয়েছে গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও। সংসদ ভবনে ঢুকেও তছনছ করা হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, ধানমন্ডির ও ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে লুটপাট অগ্নিসংযোগ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সব ভাস্কর্যই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে হামলা হতে থাকে সরকারি বেসরকারি সম্পত্তিতে। এসব হামলা ও লুটপাট প্রতিহত করার মত কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা নেই; পুলিশ প্রশাসন কার্যত ভেঙে পড়েছে। পুলিশ সদস্যরা ‘প্রতিশোধের আশঙ্কা’ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত আছেন।
এর মধ্যে পুলিশের শীর্ষ পদে রদবদল হয়ে গেছে। নতুন পুলিশ প্রধান তার বাহিনীর সদস্যদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বুধবার।পুলিশহীন দেশে আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ডাকাত আতঙ্কে রাত জেগে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় মানুষের রাত কাটছে নির্ঘুম পাহারায়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইন-কৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে বাহিনী প্রধানগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে এই বৈঠকে নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনের পাশাপাশি নবনিযুক্ত আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের নতুন মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের নতুন কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এই বৈঠকে ছিলেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।