বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে

5

শিক্ষার্থীদের চলমান বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে সরকারের অব্যাহত বাধা, নির্যাতন, নিপীড়ন, দমন, মামলা ও গণগ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহŸায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেসামাল হয়ে সরকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের হত্যা করে উল্টো বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করছে। এই শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মন্জুসহ চার শতাধিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। শুক্রবার রাতে মহানগর ছাত্রদলের সি. যুগ্ম আহŸায়ক আসিফ চৌধুরী লিমনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই আলিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা আজিজ উদ্দিন মিন্টুকে হামলা করে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চট্টগ্রামে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের আনাচে কানাচে ঘরে ঘরে আজ খুনি সরকারের পদত্যাগের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে। গণতন্ত্র হত্যাকারী ও সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। এই সরকার আজ প্রাণঘাতী সরকারে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সরকারের অন্যায়, অবিচার ও গণহত্যার বিরুদ্ধে সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ আজ সাহসের সঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন। তাই ছাত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না এই শাসকগোষ্ঠী। গণধিক্কৃত এই সরকারকে বিদায় করতে আপামর জনতা ছাত্র-যুবকসহ সবাইকে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার এতই ভীতসন্ত্রস্ত এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে যে, তারা নিজেরাই বলছেন, শ্রীলংকার মতো গণভবন দখল করে নেবে জনগণ এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। সেই ভয়ে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অপব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তাদেরকে বিদায় নিতেই হবে।
নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রতি সরকারের আদেশ, নির্দেশ, চাপ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে দমন, নিপীড়ন থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ইতিপূর্বে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সব নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।