চেয়ারম্যান মুজিব ও তার স্ত্রীর সম্পদ জব্দের আদেশ

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরীর অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ আদেশ কার্যকরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ থেকে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে আদালতের নির্দেশনা সম্বলিত পত্র পাঠানো হয়েছে। গত ২৮ জুলাই পত্রটি প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত দুই আসামির অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন। এসব সম্পদের মধ্যে জমিজমার পাশাপাশি সিকদার ফিশারিজ অ্যান্ড পোল্ট্রির নামে থাকা সম্পত্তিও রয়েছে। আদালত আসামি মুজিবুল হক চৌধুরীর অসাধু উপায়ে অর্জিত ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৯১ টাকা এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরীর অর্জিত ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৬২২ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বল এলাকার আবদুল গফুর সিকদার বাড়ির মৃত মোজাম্মেল হক চৌধুরীর ছেলে মুজিবুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজিবুল হক চৌধুরী জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এটি দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপর মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজিবুলের স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরী জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ উপার্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এটি দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদ উপার্জনে সহযোগিতা করায় মুজিবুল হক চৌধুরী বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।