চন্দনাইশে দেড় বছরে কুকুর-বিড়ালের কামড়ে মহিলাসহ আহত ১৫২

6

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে গত ২০২৩ সালে ৮০ ও ২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ৭২ জন কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
চন্দনাইশ উপজেলায় বেওয়ারিশ কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে দেড় বছরে দেড় শতাধিক আক্রান্ত হয়। এ সকল বেওয়ারিশ কুকুর ও বিড়াল নিধনে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকায় শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ২, ফেব্রæয়ারিতে ২, মার্চে ৭, এপ্রিলে ৯, মে ৪, জুনে ৮, জুলাইতে ১১, আগস্টে ৫, সেপ্টেম্বরে ৭, অক্টোবরে ৯, নভেম্বরে ৬, ডিসেম্বরে ১১ জনসহ ৮০ জন কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের শিকার হয়েছে। তৎমধ্যে ৪৭ জন পুরুষ, ৩৩ জন মহিলার মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি, একইভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রæয়ারিতে ৬, মার্চে ১৬, এপ্রিলে ১৫, মে ৮, জুনে ২০ জনসহ ৭২ জন কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের শিকার হয়েছে। তৎমধ্যে ৪০ জন পুরুষ, ৩২ জন মহিলার মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি বলে জানা যায়।
কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত এ সকল রোগীদের চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় সংখ্যায় বেশি রোগী আসার কারণে অনেককে নিজস্ব অর্থায়নে ভ্যাকসিন ক্রয় করে নিতে হয়। অন্যথায় রোগীদের জলাতংক রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিবে বলে চিকিৎসকগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার সাথে সাথে ১৫ মিনিটের অধিক সময় সাবান দিয়ে ধৌত করে পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ দেয়া হয়ে থাকে। পর্যায়ক্রমে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ৩/৪ ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।