মানবতার সেবক ছিলেন সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান বলেছেন, পৃথিবীতে যত মনিষী এসেছেন প্রত্যেকেই শান্তির কথা বলেছেন। জন্মগ্রহণ করলেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। কিন্তু যে মনুষ্যত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি সেখানে যদি অন্যায় অবিচার করি তাহলে মনুষ্যত্ব লোপ পায়। আমাদের প্রত্যেককে সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজের আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন মানবতার সেবক। গতকাল (২৮জুলাই) সকালে সকালে ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজের মহাপ্রয়াণোত্তর দিবসী, স্মৃতি তর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক সাধক। সাতকানিয়ার রামপুরায় জন্ম নেয়া জ্ঞানী এই ঋষি সাধক ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্যরে মধ্যদিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন। বাণীগ্রাম গ্রামে জন্ম নেয়া আরেক ঋষি শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ ধর্ম প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুটা অসাধারণ। আমাদেরকে মহারাজের যে ত্যাগ ও ধর্মীয় গাম্ভির্য্যতা সেখান থেকে দীক্ষা নেয়া উচিত। ঋষিধামের উন্নয়নে অতীতের মতো আগামীতেও আমি পাশে থাকবো।
শ্রীগুরু সংঘের সভাপতি চন্দন সিনহার সভাপতিত্বে ও ডা. আশীষ শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ঋষিধামের সন্নাসী শ্রীমৎ সৎচিদানন্দ পুরী, রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ঋষি অদ্বৈতানন্দ পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ পালিত, শ্রীমৎ কৃপানন্দ পুরী, শ্রীমৎ স্বামী প্রদীপানন্দ পুরী, শ্রীমৎ স্বামী রবিশ্বরানন্দ পুরী, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, মুকুন্দ ভক্তি দাম ব্রহ্মচারী, শ্রীমৎ স্বামী মহানন্দ পুরী, শ্রীমৎ স্বামী বিবেকানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী স্বরুপানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী, শ্রীমৎ স্বামী বুলবুলানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তপন কান্তি দাশ, চন্দন তালুকদার, এডভোকেট বিমল কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর সেন, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অমল দাশ, ধর্মতত্ত¡বিদ স্বদেশ চক্রবর্তী, শ্রীগুরু সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দেব, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বাবুল চন্দ্র বনিক, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনম শাহদাত আলম, আওয়ামী লীগ নেতা শাহদাৎ ফারুক, ঋষিধাম পরিচালনা উপ কমিটির আহবায়ক রাজীব সিংহ, সদস্য সচিব চন্দ্র শেখর মল্লিক, অনুপ বরণ দাশ, চন্দন দাশ, এডভোকেট ভুপাল গুহ, তড়িৎ কান্তি গুহ প্রমুখ।
সকাল থেকে ঋষিধাম প্রাঙ্গনে মহানাম সংকীর্তন, গুরু পূজা, সমবেত প্রার্থনা, পঞ্চাঙ্গ স্বস্তায়ন, শান্তি হোম, সাতশত তুলসীদান, ষোড়শী সাধু ভান্ডারা, ভোগরাগ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুদর্শানন্দ পুরী মহারাজের সমাধি পীঠ দর্শনে আসেন বহু ভক্তপ্রাণ মানুষ। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সাধকের দিবসীতে লোকে লোকারণ্য হয় ঋষিধাম প্রাঙ্গন। মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবকদের।