ডিবি কার্যালয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা ৬ সমন্বয়কের

11

পূর্বদেশ ডেস্ক

কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সরকার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
গতকাল রোববার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে আলোচনা শেষে ডিবি অফিস থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
এ সময় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুম ও মো. আবু বাকের মজুমদার।
বিজ্ঞপ্তিতে সমন্বয়করা বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রæত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গত ৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। টানা আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন।
টানা আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১৮ জুলাই সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশানসকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।