কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

6

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে দেশের প্রতিথযশা কবি, লেখিকা, আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব, মহিয়সী নারী সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে সাহিত্যসন্ধ্যা গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লেখক, সংগঠক মো. কামাল উদ্দীন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি আশীষ সেন, লেখক জামসেদ উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ লাল আচার্য্য, অধ্যাপিকা জান্নাতুন নুর তানিয়া, রাজনীতিক দীপক পালিত, ছড়াকার ইমরান ফারুকী, আওয়ামীলীগনেতা শহিদুল ইসলাম পিন্টু, আবৃত্তিশিল্পী সোমা মূৎসুদ্দী, শাহীন ফেরদৌসী, শবনম ফেরদৌসী, কবি মনজুর আলম, শাহ আলম সিকদার, সঙ্গীতশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, সঙ্গীতা চৌধুরী, নিলয় দে, তবলা প্রশিক্ষক কানু রাম দে, শিউলী আকতার, জোবইরা নুর জোহা, সবুজ চৌধুরী রকি প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, কবি সুফিয়া কামাল- বিবেকী চেতনার স্মারক। সমাজ ও স্বদেশ মনস্ক বিবেকী চেতনার স্মারক, নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ, প্রগতিশীল চেতনার বাতিঘর, মহীয়সী নারী কবি বেগম সুফিয়া কামাল। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রাম সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রদূত কবি বেগম সুফিয়া কামাল।
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন একজন আপোসহীন নেতা। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসা¤প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গনতান্ত্রিক মুল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন সব সময় সোচ্চার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের দাবীতে তিনি ছিলেন খুবই সোচ্চার। ভাষা আন্দোলনে তিনি নিজে সক্রিয় ভাবে অংশ নেন এবং এতে অংশ নেওয়ার জন্য নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। বিজ্ঞপ্তি