দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন বছর আগে শিশু ধর্ষণের দুটি ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিতরা হলেন- ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার নারায়ণ হাট ইউনিয়নের মো. শাহ আলম (৪৭) এবং মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার ধুম ইউনিয়নের বাদশা মিয়া (৪৫)।
প্রতিবেশী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, শিশুটিকে বরই (কুল) দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে শাহ আলম ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তিনি ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার করেন’। এলাকাবাসী তখন তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। বিচারে ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নিয়ে গতকাল রায় দিলেন বিচারক। পরে শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড ছাড়াও শাহ আলমকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম জানান।
অপরদিকে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি হয় ২০২১ সালের আগাস্ট।
মামলার নথিতে বলা হয়, ওই বছরের ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে কাজের খোঁজে গিয়েছিল নয় বছরের এক শিশু। তাকে নাস্তা করানো, সাইকেল ও কবুতর দেওয়ার কথা বলে নিজের বাসায় নিয়ে বাদশা মিয়া ধর্ষণ করেন। পরের দিন শিশুটি বাড়ি যেতে চাইলে আরেকটি শিশুকে ঠিক করে দিতে বলে বাদশা। পরে বাজারে পৌঁছালে স্থানীয়রা শিশুকে উদ্ধার এবং বাদশাকে আটক করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পর সাতজনের সাক্ষ্য শেষে রায় দিলেন বিচারক।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী এম এ নাসের চৌধুরী বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদশা মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।