রথোৎসবের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন

8

কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদ্যাপন কমিটি
হৃদয় গুহায় যে আত্মা বিরাজ করেন তাঁকে দেখলে পুনর্জন্ম আর হয় না। পুনরায় জননী জঠরে আর শয়ন করতে হয় না। তখন জন্ম-মরণ থেকে চিরদিনের জন্য অব্যাহতি পাওয়া যায়। রথযাত্রা উৎসবের গভীরে এই তত্ত¡ই অন্তর্নিহিত। ১৫ জুলাই কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে ২শ বছরের প্রাচীন নগরীর নন্দনকানন তুলসীধামে উল্টো রথযাত্রা উৎসবের ধর্মসম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।
শুক্লা একাদশীর দিন রথ নিয়ে পুনঃযাত্রার নাম উল্টোরথ। এই সময়ে জপ, হোম করার বিধান রয়েছে। মন্দিরের রতœবেদী থেকে ভক্ত দর্শনে ভগবান আবারো নেমে আসেন জনপথে। তিনি ভক্তাধীন ও ভক্তপ্রিয়। জনতা জনার্দনের রথের রশি টেনে নিয়ে যায় পুণ্য লাভের আশায়। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
বাঁশখালীর ঋষিধাম অধিপতি ও তুলসীধামের মোহন্ত শ্রীমৎ দেবদীপ মিত্র চৌধুরী (পুরী) মহারাজের পৌরহিত্যে এ উপলক্ষে সকালে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলভদ্রের পূজার্চনা, ভোগ নিবেদন, আরতি, নাম কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মালোচনায় অংশ নেন যোগেশ্বর চৌধুরী, তুলসীধাম পরিচালনা পরিষদের সম্পাদক স্থপতি প্রণত মিত্র চৌধুরী, কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ডা. মাধব চন্দ্র চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিধান ধর, অর্থ সম্পাদক সুজিত হাজারী, ডা. মনোজ চৌধুরী, জহরলাল দত্ত, প্রিয়নাথ ধর, দীপক বণিক, শ্যামদাস ধর, প্রদর্শন দেবনাথ, অমিত সেনগুপ্ত, মাতৃ পরিষদের রিক্তা দত্ত, শর্মিলা চক্রবর্তী, ছায়া বিশ্বাস, আলো পাল, লিপিকা নাথ, কুন্তী ধর, লিমা দেব, প্রীতিকণা দেব, রাসনা দাশ, সুইটি পাল, লাকী দেবনাথ, মীনা ধর, শোভা ধর, বীণা ধর, রমাশ্রী ধর, আঁখি বণিক, নিয়তি দাশ, প্রকৌশলী শ্রাবন্তী পাল প্রমুখ। উল্টো রথযাত্রায় অদ্বৈত-অচ্যুত মিশনের সদস্যরা যোগ দেন। সভায় বগুড়া শহরে সেউজগাড়ী পালপাড়ার রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়াতদের আত্মার সদ্গতি প্রার্থনা এবং আহতদের সুস্থতায় জগন্নাথদেবের চরণে প্রার্থনা করা হয়।

গোলপাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদ
নগরীর ও.আর নিজাম রোডস্থ গোলপাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রা উৎসব বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে ১৫ জুলাই কালী মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল- জগন্নাথদেবের পূজা, কীর্তন, মহাপ্রসাদ বিতরণ, মহাশোভাযাত্রা। গোলপাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশ বিশুর সঞ্চালনায় বিকালে মহাশোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিমল সিকদার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ-সভাপতি বিপ্লব মিত্র, নিকেল দে, লেনিন পাল, যুগ্ম সম্পাদক রুভেল দে, মিহির দে, শৈবাল ভৌমিক, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. নিখিল কুমার নাথ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রফেসর শিমুল মহুরী, দেবু প্রসাদ সিংহ, লিটন দাশ, সন্তোষ কুমার নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার জয়দেব বৈদ্য, মৃদুল কান্তি কর্মকার, দীলিপ দাশ, এস প্রকাশ পাল, প্রকৌশলী সুমন সেন, ইঞ্জিনিয়ার সুজন মজুমদার, অঞ্জন দাশ, সৃজন রায়, শ্যামল নন্দী, রাকেশ ধর, রুবেল চৌধুরী, সাজু পালিত, কৃষ্ণ দাশ, শুভ মল্লিক প্রমুখ।
মহাশোভাযাত্রাটি নগরীর গোয়াছিবাগানস্থ শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির হতে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালী মন্দিরে এসে শেষ হয়।

আকবরশাহ রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম
নগরীর আকবরশাহ্ শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রমের উদ্যোগে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রা উৎসব বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে ১৫ জুলাই মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল-জগন্নাথদেবের পূজা, কীর্তন, মহাপ্রসাদ বিতরণ, মহাশোভাযাত্রা। বাপ্পী দাশের সভাপতিত্বে বিকালে মহাশোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন মোহরা বাণী মিলন সংঘের সাবেক সভাপতি রানা মজুমদার, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন দীপ্তি রানী দাশ, প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দক্ষিণ নালাপাড়া সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশ, বক্তব্য দেন শ্রীমৎ বামন দাশ বাবাজী। মহাশোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মন্দিরে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি