লিচুবাগান বাস টার্মিনাল জল- কাদায় ডোবা

3

মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বাস টার্মিনাল যেন এক জলকাদার ডোবা। প্রতিদিন এই টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই-বান্দরবান-রাজস্থলী সড়কে চলাচল করে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই এই বাস টার্মিনালটি পানি জমে কাদাময় এক দুর্ভোগের রাজ্যে পরিণত হয়। এতে য্ক্তু হয় নোংরা ময়লা-আবর্জনাও। ফলে নোংরা পানিযুক্ত হয়ে জল-কাদায় ভরে থাকে পুরো টার্মিনালটি।
ব্যস্ততম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে লিচুবাগানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ব্যবসা-বাণ্যিজ্য করার জন্য ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও রাঙামাটি-বান্দবারবান-চট্টগ্রাম ও এই তিন জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলাগুলোতে যাতায়াত করেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু জল-কাদাময় এই টার্মিনালে নেমেই চরম দুর্ভোগে পড়েন তারা। টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। হাঁটা-চলাও বেশ কঠিন। নোংরা ময়লা-আবর্জনা জমে থাকা পানির সাথে মিশে একাকার। ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ পড়েন বিপাকে। বছরের পর বছর কোনো সংস্কার না করায় এই অবস্থা বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
কলেজ শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বৃষ্টি জানান, ডিজিটাল সময়ে দেশ উন্নত। লিচুবাগান বাস টার্মিনাল যেন মরণ দশা। মেয়েদের এ জল-কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। এখান দিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের, ব্যবসা, শিক্ষাসহ নানান কাজে হাজার হাজার মানুষ চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে যাতায়াত করেন। কিন্তু টার্মিনালটি একটি ময়লার ভাগার। প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় আমাদের। জামা-কাপড় ও জুতো নষ্ট হয়। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।
পথচারি আবদুল জলিল জানান, টার্মিনালে গাড়ি থেকে নামা কিংবা গাড়িতে উঠা- দুই সময়টাতেই আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাটিতে পা দিলেই ময়লার স্তুপে পা আটকে যায়। সারা শরীরে ময়লা কাদা লেগে যায়। এতোবড় ও গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আর কি কিছু বলার আছে? আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই। আমরা আধুনিক মানের বাস টার্মিনাল দেখতে চাই।
চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন সওদাগর জানান, লিচুবাগান বাস টার্মিনালের কারণে লিচুবাগানের সকল সুনাম কিংবা অর্জন বাধাগ্রস্ত করছে। এর সংস্কার কিংবা আধুনিক মানের বাস টার্মিনাল নির্মাণ অপরিহার্য্য। এ ক্ষেত্রে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম বাস মিনি বাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল কুদ্দুছ জানান, বাস মালিক সমিতিকে অনেক বার বলা হয়েছে। লিচুবাগান বাস টার্মিনাল সংস্কার করার জন্য। প্রতিদিন এ টার্মিনাল থেকে শত শত বাস ছাড়া হচ্ছে। যাত্রী ও চালক-হেলপার জল-কাদার ডোবা থেকে ময়লা কাদা নিয়ে শহরে যেতে হয়। এটি পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমরা মাঝে মাঝে জলকাদার ডোবায় ইট বালু দিয়ে বাস চলাচলের উপযোগি করে তুলি।
চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির সভাপতি শওকত কাদেরী জানান, লিচুবাগান বাস টার্মিনাল আমরা সংস্কার করবো। আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের কষ্টের কথা আমরা জানি।