মতিউর পরিবারের ৭১ বিঘা জমি ৪ ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

6

 

পূর্বদেশ ডেস্ক

‘ছাগলকান্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের আরও চারটি ফ্ল্যাট ও ২৩৬৭ শতক (৭১ বিঘা) জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাদের ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা এবং শেয়ারবাজারে ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে বলা হয়েছে। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। খবর বিডিনিউজের।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে জানান, ক্রোক হওয়া ফ্ল্যাটগুলোর চারটিই রাজধানীর মিরপুর এলাকার, যেগুলো আবাসন কোম্পানি শেলটেকের কাছ থেকে কেনা। আর ক্রোক হওয়া জমির অবস্থান ঢাকার সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী ও নাটোরে।
আইনজীবী মাহমুদ হোসেন বলেন, ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ চেয়ে আবেদন করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারক আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন ক্রোক আবেদনে বলেন, অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি
হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে এই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন। এর আগে গত ৪ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিল আদালত।
দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে মতিউরকে এনবিআরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাদ পড়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ থেকেও।
কোরবানির জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকা দামে ছাগল কেনার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে মতিউর রহমানকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়।
তার আগে ছাগল কিনতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ইফাত। ধানমন্ডির বাসায় ঈদের দিন ছাগলটি কোরবানি দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তখন ছাগলসহ ইফাতের ছবি জুড়ে দিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন- ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী?
এ প্রশ্ন ঘিরে সামনে আসতে থাকে ইফাতের পরিচয়। ইফাত নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট দিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে বাবার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মো. মতিউর রহমান।