‘গাজার সবাইকে’ চলে যেতে বলেছে ইসরায়েল

6

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তীব্র অভিযান চলছে। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছে তারা। বুধবার (১০ জুলাই) বিমান থেকে ফেলা লিফলেটে উত্তরাঞ্চলকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধ অঞ্চল’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য দুটি রাস্তারও উল্লেখ করা হয়েছে যা দেইর আল-বালাহ এবং আল-জাওয়াইদাতের আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গাজার আল-আওদাহ নামের একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলার এক দিন পরই গাজা নগরী খালি করার নির্দেশ এল। এই হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত ৫৩ জন। ইসরায়েলি বাহিনীর লিফলেট বিতরণের পর, বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে দেখা গেছে। অন্য অনেকেই অবশ্য শহর ছাড়তে রাজি নন। গাজা শহরে এখনও অন্তত আড়াই লাখ লোক বসবাস করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তারা কিছু বাসিন্দাদের কাছ থেকে ফোনকল পেয়েছে। বোমা হামলার তীব্রতার কারণে তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে পারেননি। সংস্থাটি বলছে, ‘গাজা থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দারা করুণ অবস্থার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আবাসিক এলাকাগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং লোকজনকে তাদের বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাস্তুচ্যুত করছে। ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় জাতিসংঘগভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘ বলছে, গাজা নগরী খালি করার ইসরায়েলি নির্দেশ ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর ভোগান্তিকে আরও তীব্র করে তুলবে।
তাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে, যারা বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা শহরকে সম্পূর্ণভাবে খালি করতে নির্দেশ দিলো ইসরায়েল। বুধবার জারি করা বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, গাজায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডবিøউএ) একটি সদর দফতরের অভ্যন্তরে কাজ করা হামাস ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রাতভর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছে তারা।