উদ্বেগ থাকলেও ভারত কৌশলগত অংশীদার: যুক্তরাষ্ট্র

9

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ওয়াশিংটনের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থাকবে দিল্লি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ায় দুদিনের সফরের সময় মার্কিন কর্মকর্তারা এই মন্তব্য করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে মোদির সফরে পশ্চিমা দেশগুলোর নজর ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্ররা রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফর নিয়ে আলাদাভাবে প্রতিক্রিয়া জানান।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ভারত ও রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত একটি কৌশলগত অংশীদার। যে দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কসহ আমরা পূর্ণাঙ্গ ও খোলামেলা সংলাপে অব্যাহত রাখছি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের উদ্বেগ স্পষ্ট এবং আমরা তা সরাসরি ভারত সরকারকে জানিয়েছি। এটির পরিবর্তন হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধের পর ভারত রাশিয়ার সমালোচনা ও নিন্দা করেনি। বরং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়িয়েছে।
তবে সংলাপ ও ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংঘাতের সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মেজর জেনারেল রাইডার বলেন, আমি মনে করি না কেউ অবাক হবেন যদি (রাশিয়ার) প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিন এই সফরকে এমনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন যে তিনি বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন নন। সত্য হলো প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই আগ্রাসী যুদ্ধ রাশিয়াকে বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। তাদেরকে চড়া মূল্য দিয়েছে। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধান এখন মস্কোতে পুতিনকে আলিঙ্গন করছেন। ফলে পুতিনকে খুব বিচ্ছিন্ন বলে মনে হচ্ছে না। মেজর জেনারেল রাইডার জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ভারত ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে যা কিছু করার তা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ভারত একটি স্থায়ী এবং ন্যায়সংগত শান্তির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে। পুতিনকে জাতিসংঘের সনদ এবং সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখÐতার নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব বোঝাবে।