আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এখনও ম্যানুয়াল

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিটাগাং চেম্বার এবং ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স-বাংলাদেশ (আইসিসি-বি)’র উদ্যোগে ‘ডিজিটালাইজিং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স-বাংলাদেশ’র মহাসচিব আতাউর রহমান, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, লুব-রেফ’র দ্ব পৃষ্ঠা ৭, কলাম ৪.
ষ শেষ পৃষ্ঠার পর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন’র পরিচালক মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংক এর যুগ্ম পরিচালক মো. রাফিউল মনির, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ’র যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র সহকারী পরিচালক মোরশেদুল হক, রেডসি গেটওয়ে টার্মিনাল’র হেড অব কমার্শিয়াল সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক, এপিএল (বাংলাদেশ) প্রা. লি.’র হেড অব অপারেশন এনামুল হক ও বিএসআরএম’র হেড অব কমার্শিয়াল আলী মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন- বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সাথে আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে কাস্টমস এর মাধ্যমে। বাংলাদেশে এখন সর্বত্র ডিজিটাইলাইজড হলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনও আমরা ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে রয়ে গেছি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স এর অন্যতম সক্রিয় সদস্য। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ডিজিটাইলাজেশনের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন- চিটাগাং চেম্বার ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অটোমেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া ৪২ ধাপ থেকে ৭ ধাপে নেমে আসে। কিন্তু পরবর্তী কোন উদ্যোগ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এখনো আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই পেপারলেস, ক্যাশলেস ও ফেসলেস সেবা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, আরএমজি সেক্টরের রপ্তানিকারকরা সঠিক সময়ে ও নিয়ম মেনে পণ্য পাঠানোর পরও বিদেশি অনেক ক্রেতা রপ্তানি মূল্য পরিশোধ না করে পণ্যসমূহ ছাড় করিয়ে নেয়। এতে করে রপ্তানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এসব অপ্রত্যাবশিত রপ্তানি আয় পরিশোধের জন্য তিনি ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স’র সহায়তা কামনা করেন।
আইসিসি-বি মহাসচিব আতাউর রহমান বলেন- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের টিকে থাকতে হলে ডিজিটাইজেশনের কোন বিকল্প নেই। এজন্য আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অন্যতম বড় বাধা হচ্ছে সাইবার অপরাধ। এ বিষয়েও আমাদেরকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের ট্রেড সাপ্লাই চেইন ফ্যাসিলিটি বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে ডিজিটাল সেন্টার ইনিশিয়েটিভ নেয়া হচ্ছে আইসিসি পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন- প্রতি ৩ জন শ্রমিকের ১ জন আইসিসিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্য। ফলে বিশ্বব্যাপী আইসিসিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের চেইন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আধুনিকায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, বাফা’র সহ-সভাপতি খায়রুল আলম (সুজন), ট্রাস্টেড শিপিং লাইন্স’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, জিপিএইচ ইস্পাত প্রতিনিধি ওসমান গণি চৌধুরী।
বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিয়ানমি স্টিলফেন, লিড ফর রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিগ্যাল রিফর্ম, ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভ (ডিএসআই), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি), সিঙ্গাপুর।