শিক্ষার্থীদের যে পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত আন্দোলনের উসকানি দেওয়া হচ্ছ’, মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা বুঝে বা না বুঝে আন্দোলন করতেই পারেন। তাদের মনে ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বোঝানোর যাদের দায়িত্ব, ওনারা তা পালন করতে পারছেন না।
গতকাল বুধবার সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আপিল শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
টেলিভিশন টকশো আলোচকদের সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, তাদের কথা শুনে মনে হয়, টকশোকাদের চেয়ে জ্ঞানীগুণী আর কেউ নেই। আমরা যারা বিচারকের আসনে আছি, তারা কিছুই জানি না।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করছে, সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করা যায় না। হাইকোর্ট একটা রায় দিয়েছেন। সেই রায় সঠিক হয়েছে কিনা, সেটা দেখার জন্য আপিল বিভাগ রয়েছে। আপিল বিভাগ তো হাইকোর্টের রায় বাতিল বা সংশোধন করতে পারেন। আবার বহালও রাখতে পারেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য আদালতে তুলে ধরতে পারেন, এটাই তো যথাযথ ফোরাম।
তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন হয় না। রায় পরিবর্তন আদালতেই করতে পারেন।
এ সময় যে দুই শিক্ষার্থী আপিল বিভাগে আবেদন নিয়ে এসেছেন, তাদের ও আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।
এরপর আপিল বিভাগ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহŸান জানান। সেইসঙ্গে দেশের সব দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন আদালত। আর সংক্ষুব্ধদের উদ্দেশে আদালত বলেন, কোনও শিক্ষার্থী যদি মামলায় যুক্ত হতে চান, আইনজীবীর মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন। শুনানি হলে তখন তাদের কথাও শোনা হবে।