বিয়ের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা হল না জুয়েলের

9

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

গত ৫ জুলাই বিদেশ থেকে দেশে এসে বিয়ের কার্যক্রম শুরু করেছিল জুয়েল মাহমুদ (৩০)। এর আগে মোবাইলে আকদ্ শেষ করেন। আগামী ২৪ জুলাই বিয়ের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিয়ের দাওয়াত ও বাজার শেষে সীতাকুন্ড বাজার থেকে মহাসড়ক পার হচ্ছেন বাড়ি যাওয়ার জন্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাস স্টপিসের বাইপাস সড়ক পার হতে গিয়ে অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় মৃত্যুবরণ করেন।
গত বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে সীতাকুন্ড পৌরসদের এলাকার বাস স্ট্যান্ড সামনে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে। নিহত প্রবাসী জুয়েল মাহমুদ উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পূর্ব ধর্মপুর গ্রামের মো. শাহজানের ছেলে।
জানা যায়, সৌদি আরব প্রবাসী জুয়েলের সাথে চট্টগ্রাম নগরীর মনসুরাবাদ এলাকার এক মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হয়। এ নিয়ে ২৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বৌকে ঘরে তোলার ব্যাপক ধুম ধামে প্রস্ততি চলছিল। তবে জুয়েল বুধবার বিয়ের কেনাকাটা ও দাওয়াত করতে সীতাকুন্ড পৌরসদরে আসেন। পরে বিয়ের কেনাকাটা ও দাওয়াত শেষে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে পৌর সদর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক পার হতে গিয়ে অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন জুয়েল।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. শামীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রবাস ফেরত জুয়েল বিয়ে করতে দেশে এসেছিল। আকদ্ও হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২৪ জুলাই বউ ঘরে তুলে আনার আয়োজনও চলছিল। কিন্তু ভাগ্য খারাপ পিতার জীবদ্দশায় একমাত্র পুত্র বিয়ের দাওয়াত করে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সংবাদে মুহূর্তে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা-টেরিয়াইল হাইওয়ে থানার দায়িত্ব থাকা ইনচার্জ এস.আই মো.আলমগীর হোসেন বলেন,‘দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাবার আগেই প্রবাসী জুয়েলের লাশ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা। অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় প্রবাসী জুয়েল মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে আমরা গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা করছি।’