পূর্বদেশ ডেস্ক
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা এবং তাদের আশপাশে বসবাস করা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সেবা ও সুযোগ দেওয়ার জন্য ৭০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৬৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ আট হাজার ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ অর্থের অর্ধেক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে, যা অনুদান। আর বাকি অর্ধেক রোহিঙ্গা বসতি সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মৌলিক সেবা ও সুযোগ দিতে ঋণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ এ ঋণ ও অনুদান অনুমোদন করে।খবর বাংলানিউজের।
সহিংসতার কবলে পড়ে ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বলে ধরে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, আমরা প্রায় এক মিলিয়ন (১০ লাখ) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের উদারতাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করি। আমরা স্থানীয় আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক চাপের বিষয়টিও উপলব্ধি করি। এ সংকট সাত বছর ধরে চলছে। তাদের স্বল্পমেয়াদি ও জরুরি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। আমরা এ জটিল সংকট মোকাবিলায় এবং রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংকটের সাত বছরে ৩৫ কোটি ডলারের ‘ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন (আইএসও) প্রকল্প এবং ৩৫ কোটি ডলারের ‘হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহ্যান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)’ প্রকল্প দুটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশি আশ্রয়দাতাদের সহায়তা করবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের ‘আইডিএ-২০ উইন্ডো ফর হোস্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড রিফিউজিস’ এর আওতায় অনুদান হিসেবে এ অর্থায়ন করা হবে।
দুটি প্রকল্পেরই অর্ধেক অর্থ অনুদান, যা ফেরত দিতে হবে না। বাকি অর্ধেক অর্থ সফট লোন হিসেবে অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক, যা সুদে আসলে ফেরত দিতে হবে বাংলাদেশকে।