তৈলারদ্বীপ সেতুতে বাড়তি টোল আদায় তদন্তে কমিটি

17

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী-আনোয়ারা সংযোগস্থলে সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুতে সরকারি নিয়মের চেয়ে অতিরিক্ত টোল আদায় তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। গত সোমবার এক আদেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা এ কমিটি গঠন করেন।
কমিটিতে দোহাজারি সড়ক উপ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজবাহ-উল-আলমকে আহŸায়ক ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাফিজ বিন-মনজুরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজারাদার জে.এ ট্রেডিং কর্তৃক নির্ধারিত টোল হারের চেয়ে অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় ‘তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল কর্ণফুলী সেতুর সমান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সওজ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হলে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংবাদে আনিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার নিমিত্তে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সড়ক ও জনপথ দক্ষিণ বিভাগের সম্পাদিত চুক্তির শর্তাবলীতে নির্ধারিত হারে টোল আদায়ের রশিদ ছাপানোর কথা বলা হয়। এরপরও বাড়তি টাকায় রশিদ ছাপানো হয়েছে। ট্রেইলার জাতীয় যানবাহনে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা টোল নেওয়ার কথা থাকলেও নিজস্ব টোকেন ছাপিয়ে ৫০০ টাকা করে টোল আদায় করছে ইজারাদার। একইভাবে মিনি পিকআপের নামে রশিদ ছাপিয়ে ১৩০ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে। অথচ মিনি পিকআপ নামে কোন গাড়ির টোল হাল নির্ধারণ নেই এ সেতুতে।
মেসার্স ফারুক এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ফারুক বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও তৈলারদ্বীপ সেতুতে বাড়তি টোল নেওয়া হচ্ছে। আমার গাড়ি পারাপারে ৫০০ টাকা হারে টোল নেওয়া হয়েছে। ট্রেইলার কাভার্ডভ্যানের রশিদ দেওয়া হয়েছে। এরা যাচ্ছেতাইভাবেই টোল তুলছে।’