ডিভাইস আসক্তি : বাস্তব জীবনের সাথে নেট দুনিয়ার ভারসাম্য রক্ষা প্রয়োজন

3

ফজলুর রহমান

মানব জীবনে ‘যোগাযোগ’ প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জন্মলগ্ন হতে চির শায়িত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রত্যেকে কোনো না কোনোভাবে যোগাযোগের মধ্যেই অতিবাহিত করতে হয়। পারস্পরিক নির্ভরতা থাকলে সেখানে আপনাকে যোগাযোগ করতেই হবে।
যোগাযোগ বিশারদ ম্যাকাইভার বলেছেন, “মানবীয় সম্পর্কের পরিবর্তন হচ্ছে সামাজিক পরিবর্তন”। এটি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে এক নতুন বাস্তবতা। শহর থেকে গ্রাম- সামাজিক যোগাযোগ এর স্থান দখল করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চারপাশে, দেশে-বিদেশে কী ঘটছে, সেগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাচ্ছে সবাই। আমাদের টাইমলাইন, নিউজফিড ভরে যায় প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় সংবাদ, ছবি ও ঘটনায়। এ সুযোগটি করে দিচ্ছে ইন্টারনেট। আর সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এ হার আরও বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ মানবীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক দূরত্বকে পুরোপুরি দূর করে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও আইফোন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি তথ্য, মতামত, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি আদান-প্রদান করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করে। প্রথাগত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের থাকে একটি উৎস ও অনেক প্রাপক। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের থাকে অনেক উৎস ও অনেক প্রাপক।
ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে দিচ্ছে। আমরা দেখছি, শারীরিক উপস্থিতির জায়গায় এসেছে স্মার্টফোন ও আইফোননির্ভরতা। এখন যে কোন সামাজিক আয়োজন কিংবা অনুষ্ঠানে দেখা যায়, ডিভাইস তথা মোবাইল ফোনে আসক্তদের ছড়াছড়ি। কে কোন অনুষ্ঠানে বা আয়োজনে এসেছে তা তার আচরণ ও অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পাচ্ছে না। ডিভাইস আসক্তিতে পরিবেশ ও পরিস্থিতির কথা ভুলে যাচ্ছে সবাই। এভাবে একটা অস্থির প্রতিবেশ তৈরি হচ্ছে। ফলে সমাজের স্বাভাবিক পরিবেশের সঙ্গে আর সহজ আচরণ করা হয়ে ওঠে না।
আমরা জানি, প্রতিমুহূর্তের ক্রমাগত আপডেট থাকা বেশ ভালো। তবে সারাক্ষণ প্রযুক্তিময় থাকা ক্ষতিকর। যুক্তরাষ্ট্রোর ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির ভার্চুয়াাল এনভায়রণমেন্ট কমিউনিকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড অনলাইন রিসার্চ প্রধান জেসি ফক্স বলেন, “যদি আধ ঘণ্টায় ৫ মিনিট পর পর নিজেকে এভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ দেন তাহলে পুরো সময় আসলেই আপনি কোনো কাজে মনোনিবেশ করেননি।”
ডিজিটাল আসক্তি বলতে- ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি এমন মোহ বা টান যা ব্যবহারকারীদের মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন করে তোলে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তথা ভিডিও গেম, অনলাইন বিনোদন, মোবাইল অপারেশন, ডিজিটাল গ্যাজেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মগুলোতে নেশাগ্রস্ত করে রাখে। সব বয়সের মানুষের মধ্যে এ আসক্তি দেখা দিলেও কিশোর-কিশোরী, শিক্ষার্থীরা এ আসক্তিতে বেশি আক্রান্ত । ডিজিটাল আসক্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনলাইন কার্যক্রমে এমনভাবে ঝুঁকে পড়ে যা তার দৈনন্দিন আবশ্যকীয় কর্মকান্ড সম্পন্ন করা থেকে বিরত রাখে এবং তার স্বাভাবিক আচার-আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ডিজিটাল আসক্তি মানুষে মানুষে সম্পর্কের সূ² দিকগুলো দুর্বল করে দেয় এবং সামাজিকভাবে একে অন্যের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাসুরিয়ন পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীরা দিনে গড়ে ৯৬ বার তাদের ফোন চেক করেন, যা প্রতি ১০ মিনিটে একবার। ডেলয়েট পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৫৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ঘুমোতে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে এবং ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চেক করেন।
ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি মানুষকে মানসিকভাবে অসুস্থ করছে। বর্তমান সময়ে না চাইলেও ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোনের পর্দায় চোখ রাখতে হয় বেশি তবে অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়তে পারে। দিনের অধিকাংশ সময়ে মোবাইল বা ল্যাপটপে অতিরিক্ত চোখ রাখলে অত্যধিক সময় ব্যয় করলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদানগুলির ভারসাম্য বিঘিœত হয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণ, আচরণেও সমস্যা হতে পারে। উদ্বেগ, অনিদ্রা থেকে স্থূলতাসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ি অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্টিসল হরমোন যা স্ট্রেস বায়োমার্কারের মতো কাজ করে এটি স্ক্রিনটাইম বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। যা সবার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইনসুলিন প্রতিরোধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, অনিদ্রা, মাথাব্যথা, চোখের স্ট্রেন, শুষ্ক চোখ, বসে থাকার অভ্যাস, বিষন্নতা এবং আত্মঘাতী আচরণ সবই মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তির অত্যধিক ব্যবহার ঘুমের গুণমান হ্রাস, চোখ টনটন করা, মাইগ্রেন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যাসহ নানারকম জটিলতা সৃষ্টি করে। ঘুমের উপর সেলফোন, কম্পিউটারের মতো জনপ্রিয় ডিভাইসের প্রভাব গবেষণায় দেখা যায়, স্ক্রিন থেকে নির্গত আলো মেলাটোনিন (একটি গুরুত্বপূর্ণ জৈব নিয়ন্ত্রক রাসায়নিক যা ঘুমের সময় এবং ধরণকে নিয়ন্ত্রণ করে) হরমোনের উৎপাদনকে প্রতিহত করে। ফলে ব্যাঘাত ঘটে স্বাভাবিক ঘুমে।কম্পিউটারের সামনে বসে বসে কাজ করার ফলে যেহেতু শারীরিক পরিশ্রম হয় না। বরং ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চিপস, ফ্রোজেন আইটেম, কোল্ডডিংক্স ঠিকই খাওয়া হয়। ফলে শরীরে জমছে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বাড়ছে ডায়াবেটিস, স্থূলতার ঝুঁকি। ক্রমেই বুদ্ধির বন্ধ্যত্ব তৈরি হচ্ছে, বিঘিত হচ্ছে মেধার বিকাশ। এসব কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিকারগ্রস্ত করে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের শতকরা ৯০ ভাগ পরিবারে এখন শিশুদের খেলনার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মোবাইল ফোন। শিশুর বায়না পূরণে মোবাইলে গেমস দেখা বা গান শোনা যেন এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোনের বিকিরণের কারণে শিশুর চোখে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আগে শিশুদের গল্প শুনিয়ে খাবার খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো হতো। কিন্তু আজকাল সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে মোবাইল ফোনে কিংবা টিভি। ফলে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখের জ্বালাপোড়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ পিটপিট করা, চোখ দিয়ে পানি পড়া এসব অভিযোগই বেশি শিশুদের। এটা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শিশুদের চোখের মাইনাস পাওয়ার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। যাকে বলে মায়োপিয়া। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা কাছের জিনিস ভালো দেখলেও দূরের জিনিস দেখতে পায় না। এ সমস্যা বাড়লে দূরের বস্তু আর দেখবেই না। একটানা কম্পিউটার, মোবাইল বা যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তাকিয়ে থাকাটা বড় ছোট সবার চোখের জন্যই ক্ষতিকর। বর্তমানে অভিভাবকদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশুর কথা বলতে দেরি হওয়া। সাধারণত শিশুরা চার থেকে ছয় মাস বয়সের মধ্যে ‘মামা-বাবা’র মতো বাবলিং সাউন্ড করে, এক বছরে এক-দুইটা করে অর্থবহ শব্দ বলতে শেখে, দুই বছরে ছোট ছোট বাক্য গঠন করতে পারে, তিন বছরে ছড়া বলতে শেখে, এর কোথাও ব্যত্যয় ঘটলে মা-বাবাকে বুঝে নিতে হবে শিশুর বিকাশে সমস্যা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আসক্তির কারণে ধীরে ধীরে শিশু হয়ে ওঠে অন্যমনস্ক। সরাসরি কারো সঙ্গে কথা বলতে চায় না সে, অন্য কোনো খেলাধুলায় আগ্রহী হয় না, সময়মতো ঘুমাতেও চায় না। একপর্যায়ে পুরোপুরিই কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে শিশু। মোবাইলে হিন্দি-ইংরেজি নানান ভাষার কার্টুন দেখতে দেখতে কখনো কখনো নিজের বানানো অর্থহীন শব্দে কথা বলার চেষ্টাও করতে পারে সে। এছাড়াও চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, ঘাড় ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো নানা শারীরিক সমস্যারও শিকার হয় শিশু। ডিভাইসের প্রতি আসক্তি থেকে ‘স্ক্রিন ডিপেন্ডেন্সি ডিজঅর্ডারে’ও ভুগতে শুরু করে শিশু।
এদিকে ৮২ জন প্রাপ্তবয়স্ক তরুণের উপর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তারা যত বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে, তাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা তত বেশি কমে গেছে। কারণ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অন্যদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে উৎসাহিত করে। তাই, প্রযুক্তি তাদের আত্মসম্মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মানসিক চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশে অনেক ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। পৃথিবীতে এ নিয়ে হাজার হাজার গবেষণায় সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, প্রযুক্তি থেকে ছুটি নেয়ার ফলে তাদের স্ট্রেস কমে মানসিক শান্তি ফিরে এসেছে।
ছেলেমেয়েরা কী পরিমাণ সময় ব্যয় করছে ফেসবুকে, কানো বাজে সাইট ভিজিট করছে কিনা, পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার থেকে দূরে থাকার জন্য একটি সময়সীমা ঠিক করে সম্পূর্ণ ডিসকানেক্ট করা যায়। প্রথমেই ঘনঘন ফোন চেক করার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুরুতই ছোট ছোট টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। ১০ মিনিট দিয়ে শুরু হতে পারে। এরপর ২০ মিনিট ফোন, আধাঘন্টা ধীরে ধীরে অর্ধেক দিন বা সপ্তাহের অন্তত একটি দিন ফোন, কম্পিউটার ছাড়াাই থাকার চেষ্টা করা যেতে পারে। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, খাওয়া,শপিংয়ের সময়েও ফোনের দিকে তাকানো বন্ধ করা যায়। স্ক্রিন টাইম নির্দিষ্ট করতে পারলে ভালো। গুগলে কোনো উত্তর খোঁজা, সময় কিংবা তারিখ চেক করা, মেসেজ দেয়া এসব কাজে বার বার ফোন বা ল্যাপটপ না নিয়ে ডায়েরীতে টুকে সব একসঙ্গে স্ক্রিন টাইমের মধ্যে শেষ করতে হবে। উঠতি বয়সীদের মোবাইল আসক্তি এড়াতে তাদের বাইরে যাওয়া, পার্কে-মাঠে দৌঁড়াতে, খেলতে উৎসাহ দেয়া যেতে পারে।
প্রথম তিন বছর বয়সটা শিশুদের বিকাশের জন্য ‘গোল্ডেন উইন্ডো পিরিয়ড’ হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে শিশু যে পরিবেশে বড় হবে সেটা তার সারাজীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। এই সময়টায় কোনো কারণে শিশুর ব্রেনের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সারিয়ে তোলা কষ্টকর। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেন শিশুর বিকাশে বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে সেজন্য সবচেয়ে বেশি তৎপর হতে হবে শিশুর বাবা-মাকে। শুরু থেকেই শিশুকে একান্ত সময় দেওয়া, তার সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলা, অন্যান্য শিশুর সঙ্গে খেলতে নিয়ে যাওয়া- ইত্যাদির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে তাদের। শিশুর মঙ্গলের জন্য জীবনযাপন পদ্ধতিতে আনতে হবে পরিবর্তন।
ডিভাইস আমাদের অতি ব্যস্ত জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতটা কম সম্ভব স্ক্রিন ব্যবহার করবেন, ততই মঙ্গল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানোর কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, ডিভাইস বা স্ক্রিন human interaction এর বিকল্প নয়। আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে নেট দুনিয়ার সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।

লেখক : উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) চুয়েট