শীতকালে বাজারে দেখা মেলে নানা পদের সবজি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফুলকপি। দেখতে ফুলের মতো এই সবজি অনেকেরই বেশ পছন্দের। বাজারে এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। এই সময়ের প্রায় সব সবজিরই কিছু না কিছু খাদ্যগুণ রয়েছে। তবে খাদ্যগুণের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ফুলকপি। এটি এমনই এক সবজি যাতে প্রচুর পরিমানে আঁশ এবং ভিটামিন বি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুলকপি হাড়ের শক্তি বাড়ায়, হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকী ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। জেনে নিন ফুলকপি’র পুষ্টিগুণ-
কোলস্টেরল কমায় : এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
হাড় ও দাঁত শক্ত করে : ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে : ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে ফুলকপি। এতে আছে সালফোরাপেন, যা ক্যানসার কোষকে মেরে টিউমার বাড়তে দেয় না। স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে ফুলকপির।
হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী : ফুলকপি হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। এতে যে সালফোরাপেন আছে, তা হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।
রোগ প্রতিরোধ করে : ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।
শক্তি জোগায় : এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।
চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী : কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় : চোখের যতেœ ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।
এছাড়া এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবেটিস, স্থুলতা এবং গ্যাস্ট্রিকজিনত অনেক সমস্যাও কমায়। বিশেষজ্ঞরা কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে অন্যান্য শাকসবজির সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত প্রায় এক কেজি ফুলকপি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সূত্র : ইন্টারনেট