ধানের শীষে দুর্নীতি, ধানের শীষে জঙ্গিবাদ : হাসিনা

64

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-জঙ্গিবাদ-অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে কল্যাণের জন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, ‘ধানের শীষে ভোট মানে দুর্নীতি, ধানের শীষে ভোট মানে ককটেল আর বোমা হামলা। ধানের শীষ মানেই জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে যারা মানুষ বলে গণ্য করে না, তারা কিভাবে আবার ধানের শীষে ভোট চায় আপনারা বলেন’। খবর বিডিনিউজের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণসংযোগের অংশ হিসেবে এদিন গুলশানে এসে ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। ঢাকা-১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতউল্লাহ, ঢাকা-১২ আসনের আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা-১৩ আসনের সাদেক খান, ঢাকা-১৪ আসলামুল হক, ঢাকা-১৫ আসনের কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনের মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা-১৮ আসনের সাহারা খাতুন ছাড়াও দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী সালমান এফ রহমান এ নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কা উন্নতি, সমৃদ্ধি। নৌকা মার্কা জনগণের স্বাধীনতা, নৌকা মার্কা মানে জনগণের ভাগ্যকে উন্নীত করা। নৌকা মার্কা মানে এদেশের মানুষের কল্যাণ হওয়া, যা চির জীবন দেশবাসীর প্রাপ্য। কাজেই এটা বিবেচনা করে আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই’।
গত ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধি এনে দেওয়ার প্রতিশ্রæতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছি, আমরা দুর্নীতি দূর করব। মানুষের কল্যাণে কাজ করব। মানুষের উন্নয়ন করব। দেশের শান্তি নিরাপত্তার জন্য, দুর্নীতি দমন করবার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাই’।
আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও পরে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। সেই উদ্যাপন সামনে রেখে সরকার ইতোমধ্যে ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সুবর্ণজয়ন্তী আমরা তখনই পালন করতে পারব, যখন নৌকা মার্কায় ভোট পেয়ে আমরা সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করতে পারব’।
দারিদ্র বিমোচন করে ‘উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে, আজকে যে জোয়ার উঠেছে, ইনশাল্লাহ নৌকার জয় হবে। সরকার গঠন করে এদেশের মানুষের সেবা করব, মানুষকে উন্নত জীবন দেব, আজ এ ওয়াদা রেখে যাচ্ছি’।
নির্বাচনী গণসংযোগের অংশ হিসেবে ২২ ডিসেম্বর সিলেটে তিনটি মাজার জিয়ারত করে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। এরপর ২৩ ডিসেম্বর তিনি যাবেন রংপুর। সকালে রংপুর-২ নির্বাচনী এলাকায় (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জে) একটি জনসভায় অংশ নিয়ে পরে দুপুরে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে। এছাড়া আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় কামরাঙ্গীরচর মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।