পূর্বদেশ ডেস্ক
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো রহস্যের কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিপুকে যে পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়েছে, সেটি মিয়ানমারের তৈরি বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন তারা। ফলে হত্যাকাÐের সঙ্গে রোহিঙ্গা-সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিপু যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানে তার সঙ্গে এক নারীও ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। তবে তার সম্পর্কে নানা তথ্য পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর বিডিনিউজের।
কে বা কারা হত্যা করেছে টিপুকে? কেন এই হত্যাকান্ড? কোথায় সফরসঙ্গী সেই নারী? ওই নারীকে কী হত্যাকাÐের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল? হত্যাকারী নিখুঁতভাবে একটি গুলিতে কীভাবে কাজ সারল- এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন গতকাল সোমবার বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো ক‚লকিনারা খুঁজে পাওয়া না গেলেও পুলিশ বেশ কয়েকটি ক্লু সামনে রেখে এগোচ্ছে।
৫৪ বছর বয়সী গোলাম রব্বানী টিপুকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সি-গালের সামনের ফুটপাতে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় খুলনা সিটি করপোরেশনের আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টো গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হলেও শুনানির দিন নির্ধারণ হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই নারী সম্ভবত একজন ছাত্রী। তার সবশেষ অবস্থান ছিল কক্সবাজারের লিংক রোড।
এ হত্যাকাÐের ‘ছায়া-তদন্ত’ করছে র্যাব। কক্সবাজারের দায়িত্বে থাকা র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনের কাছে এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও অনেক কিছু শুনছি, বিষয়টি এখনো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আত্মগোপনে থাকা ওই নারীকে খুঁজছি আমরা। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার রহস্য অনেকটা হয়ত জানা যেত।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, যে গুলির খোসা উদ্ধার হয়েছে, সেটা নাইন এমএম পিস্তলের। যেহেতু পিস্তলটি মিয়ানমারের তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাই এ হত্যাকান্ডে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের প্রশিক্ষিত ভাড়াটে কাউকে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হত্যার রহস্য উদঘাটিত না হলেও টিপুকে যে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা অনেকটা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন র্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা।