৯ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য স্বল্প সুদে প্রায় ৮১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের ঋণ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অঙ্ক প্রায় ৯ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা (এক ডলারে ১১৮ টাকা)।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের দু’টি উন্নয়ন তহবিল ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) থেকে এই ঋণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ইডিসিএফ থেকে দেওয়া হবে ৭২ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এই ঋণ মাত্র ০.০১ শতাংশ সুদে সাড়ে ১৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৪০ বছর ৬ মাসে পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য এটাই সবচেয়ে কম সুদের ঋণ। প্রকল্পে ইডিপিএফ থেকে দেওয়া হবে ৯ কোটি ডলার। ৭ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে মাত্র ১ শতাংশ হারে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে দুটি ঋণ চুক্তি হয়েছে। ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ওই চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউন হী সাং স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ‘কোরিয়া আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতায় নতুন একটি দরজা খুলে দিয়েছে। আগামি ৫ বছরের মধ্যে আরও অনেকগুলো বড় বড় প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা আসবে কোরিয়া থেকে। তাদের এই সহযোগিতায় আমাদের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আমি মনে করি। আমাদের প্রধান বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রাম এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে বিশ্বমানের রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করে আমরা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আরও বড় সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই’।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের কার্গো পরিবহনের জন্য রেলের বিকল্প নেই মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাই গভীর সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহন এবং কক্সবাজারের সঙ্গে উন্নত রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করতেই কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে’।
ঋণ চুক্তির পর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জিল্লূল হাকিম বলেন, ‘এই প্রকল্পটির গুরুত্ব অনেক। গভীর সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। তাই মেয়াদ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’