৬ বছর পর দেশে ফিরলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

সাজা মাথায় নিয়ে প্রবাসজীবন কাটিয়ে ছয় বছর পর দেশে ফিরেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ত্রী তালেয়া রহমানকে নিয়ে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নিকটজন ও সাংবাদিক নেতারা। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে সহকর্মীদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শফিক রেহমান। খবর বিডিনিউজের।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালে পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল শফিক রেহমানকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।
যায়যায়দিনের সাবেক এই সম্পাদক শফিক রেহমান বিমানবন্দরে দেশবাসীকে লালগোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশে ফিরে শেখ হাসিনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) অভাব খুব অনুভব করছি। তার পিতা ও তাকে উপাধি দিয়েছি। একজন বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ ও বীর পলাতক উত্তম। আমি তার মৃত্যুদন্ড চাই না। মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে। সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা। আমি একাত্তরে দেশে ফিরতে পারিনি। এবার দেশে ফিরলাম। ব্যক্তি পূজা বন্ধ করুন। ব্যক্তি পূজা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বিএনপিঘনিষ্ঠ ৯০ বছর বয়সী শফিক রেহমানকে প্রবাসজীবনে গত কয়েক বছরে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা না গেলেও গত বুধবার লন্ডনে একটি ‘মানবাধিকার জোটের’ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনার দ্রুত সাজার দাবি তুলেছিলেন।
বিপ্লবী আইনে ‘ফাটাফাট’ শেখ হাসিনার শাস্তি চান শফিক রেহমান। তবে দেশে ফিরে শফিক রেহমান বলেন, তিনি চান শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুন। বেঁচে থাকাকেই তার শাস্তি বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আমি মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে। আমি কারও প্রাণহানি চাই না। কোনো সহিংসতা নয়, সবাইকে ভালবাসুন। এটা বিপ্লবী সরকার, এখানে এখন বিপ্লবী আইন চলছে। সে আইনে দুই মাসের ভিতরে বিচার করতে হবে। কিউবার ইতিহাস আপনারা পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন।
নতুন সরকারের কাছে চাওয়া সম্পর্কে শফিক রেহমান বলেন, সবার চাকরি হতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। আইনশৃংঙ্খালা বজায় রাখতে হবে। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।
বিমানবন্দরে শফিক রেহমানকে স্বাগত উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সরদার ফরিদ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, আলফাজ আনাম, মাহবুব আলম, শাহীন চৌধুরী, ফেরদৌস মামুন।
পেশাজীবীদের মধ্যে ছিলেন খান মনোয়ারুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, যুবদল নেতা কৃষিবিদ সানোয়ার আলম।
এছাড়াও ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, রাশিদুল ইসলাম রিপন, বিএনপি নেতা আশরাফ শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদ রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিক।