নিজস্ব প্রতিবেদক
কন্টেইনার পরিবহনের বৈশ্বিক তালিকায় এবারও ৬৭তম অবস্থান ধরে রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর। লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট গত ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরের কন্টেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে গত সপ্তাহে ‘ওয়ান হান্ড্রেড পোর্টস ২০২৪’ শীর্ষক বিশেষ প্রকাশনায় এই তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে দেশের প্রধান এই বন্দরে আগের বছরের তুলনায় ৯১ হাজার ৭১১ টিইইউস কম কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ টিইইউস। আগের বছর করেছিল ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ টিইইউস কন্টেইনার। শতকরা হিসাবে আগের বছরের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর ২ দশমিক ৯ শতাংশ কন্টেইনার কম হ্যান্ডলিং করেছে।
চট্টগ্রামের বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলার সংকটের কারণে কন্টেইনার আমদানি কমেছে। তবে বন্দরে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বেড়েছে। আশা করি, আগামি বছর বন্দরের অবস্থান উন্নীত হবে।
এদিকে লয়েডস লিস্টের তথ্য অনুযায়ী, গতবারের মতো চলতি বছরও চীনের সাংহাই বন্দর শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। বন্দরটি ২০২৩ সালে ৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। এর আগের বছর বন্দরটি ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল। শতকরা হিসাবে বন্দরটি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কন্টেইনার বেশি হ্যান্ডলিং করেছে।
এছাড়া বৈশ্বিক সূচকে দ্বিতীয় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিঙ্গাপুর বন্দর। ২০২৩ সালে বন্দরটি ৩ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। এর আগের বছর বন্দরটি হ্যান্ডলিং করেছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টিইইউস কন্টেইনার। শতকরা হিসাবে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বন্দর সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের তালিকায় ৮৬তম অবস্থানে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর, ২০১৫ সালে ৮৭তম, ২০১৬ সালে ৭৬তম, ২০১৭ সালে ৭১তম, ২০১৮ সালে ৭০তম, ২০১৯ সালে ৬৪তম, ২০২০ সালে ৫৭তম, ২০২১ সালে ৬৭তম, ২০২২ সালে ৬৪তম এবং ২০২৩ সালের তালিকায় ছিল ৬৭তম।
