৪১ বসন্ত পেরিয়ে মুসলিম হাইস্কুল ৮৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মিলন

8

পর্তুগীজ ভবনের সেই চুন সুড়কির ইমারতের শৈশব কৈশোরের চপলতায় ঘেরা জীবন যেনো আবারো ফিরে এলো হাস্যরস আর আনন্দ আড্ডা, নাচ গানের মধ্য দিয়ে। গত ১ মে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা অবধি পোর্ট বোনানজা কমিউনিটি সেন্টারে মুসলিম হাইস্কুল এসএসসি-৮৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী বন্ধু ও তাদের পরিবার পরিজনের কল কাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা নানান পেশায় সমাদৃত সকল বন্ধুরা এদিন পুনর্মিলনীতে ছুটে আসে। রাত অবধি পুরো সম্মিলনকে গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কথামালা, আড্ডা আর ধুলোমাখা রঙিন স্মৃতির ঝাঁপিতে প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। চিকিৎসক, ব্যাংকার, উচ্চপদস্ত সরকারি বেসরকারি পেশায় নিয়োজিত মধ্য বয়সী সেই কিশোরের দল সেই ৪১ বছর আগে ফিরে যায়।
বিকেল ৫টার পরে সতীর্থ ইউসুফ বাবু ও ওয়াহিদুজ্জামান শাহীনের সঞ্চালনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ডা. সোহেলের স্বাগত জানানোর পর স্মৃতিচারণ করেন সতীর্থ সাঈদুল আরেফীন, আরিফ ইফতেখার, এ কে এম মাহাতাব উদ্দিন, মহিউদ্দিন, আশিকুর রহমান চৌধুরী, ডা. হামিদ আলম সোহেল, ইঞ্জিনিয়ার শফিউল আলম, আতাউল হাকিম, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল আলম, এস এম ফরহাদ উল্লাহ প্রমুখ।
স্মৃতিচারণে ওঠে আসে স্কুল করিডোরে রাঙানো মধুময় সব রঙিন কথামালা। আনন্দের ভাগ নিতে ৮৩ ব্যাচের স্ত্রীরাও কম যাননি। স্বামীর বন্ধুত্বকে আরো নান্দনিক আবহ দিতে আব্বাস হকের ইন্দোনেশিয়ান স্ত্রী ইশ্বতী আব্বাস সঙ্গীতে মাতোয়ারা করে রাখেন। নাট্যশিল্পী বন্ধু তৌহিদের স্ত্রী সারাক্ষণ স্বামীর পাশে থেকে নেচে গেয়ে উৎসাহ দিতে এগিয়ে আসেন। বাবাদের উৎসবটাকে প্রাণচঞ্চল করে রাখে ছেলেমেয়েরাও। অনুষ্ঠানে সঙ্গীতশিল্পী অপু ও প্রিয়াঙ্কার কণ্ঠের জাদুতে বাদ্যের তালে তালে সবাই নেচে গেয়ে এই তাপদাহের পরিবেশটাকেও অনেকটা শীতল করে তোলে। সার্বিক তত্ত¡াবধান করে এ পুনর্মিলনীর পুরো আয়োজনকে সৃজনশীল ও বৈচিত্র্যময় করে তুলেন আহমেদ হোসেন জাদল, ইউসুফ বাবু, ওয়াহিদুজ্জামান শাহীন, সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি