৩৬৪ জনের হজযাত্রা নিয়ে অনিশ্চিত থাকল

1

উড়োজাহাজ ভাড়ার অর্থছাড় নিয়ে জটিলতায় পড়া ৬৮২ জন হজযাত্রীর মধ্যে এখনও ৩৬৪ জনের অর্থ ছাড় করেনি প্রিমিয়ার ব্যাংক। ফলে তাদের সৌদি আরবে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।
গত সোমবার তৃতীয় দফায় চিঠি দেওয়ার পর ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে ৩১৮ জনের বিপরীতে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা স্থানান্তর করেছে ব্যাংকটি। ফলে তাদের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কেটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক চিঠিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় বাকি অর্থ ব্যাংকে স্থানান্তর না করে সরাসরি এয়ারলাইন্সগুলোকে পে-অর্ডার করে পাঠাতে বলেছে। দ্রুত ফ্লাইট নিশ্চিতের জন্য এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামি ১৬ জুন হজ হতে পারে। গত ৯ মে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে চলতি বছর বাংলাদেশিদের হজযাত্রা শুরু হয়। শেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকে ছাড়বে আগামি ১২ জুন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ এজেন্সি শিকদার এয়ার ট্র্যাভেলসের অধীনে প্রাথমিক নিবন্ধন বাবদ ৪২৮ জন যাত্রীর জনপ্রতি ২ লাখ ৫ হাজার টাকা করে প্রিমিয়ার ব্যাংকে জমা ছিল।
সেই টাকার মধ্যে উড়োজাহাজের ভাড়া বাবদ জনপ্রতি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা করে মোট ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখা থেকে লিড হজ এজেন্সি আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সির ইসলামি ব্যাংকের উওরা শাখার হিসাবে স্থানান্তরের জন্য মার্চে একবার চিঠি দেওয়া হয়। পরে ২৭ মে আবারও চিঠি দেওয়া হয়। অর্থ ছাড় না করায় সোমবার আরেক দফা চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয় তাদের।
অন্যদিকে নর্থ বেঙ্গল হজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস নামের আরেকটি এজেন্সির টাকা নিয়েও একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ এজেন্সির অধীনে যেতে চাওয়া ২৫৪ জন হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন করে আরেক এজেন্সি মাজিদ ট্র্যাভেলস ইন্টারন্যাশনাল।
এখানেও উড়োজাহাজের টিকেট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা করে মোট ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখায় রাখা হয়। নর্থ বেঙ্গল হজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের রংপুর শাখার হিসাবে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইলিয়াস হোসেন এর আগে বলেছিলেন, জটিলতা নিরসনে কাজ চলছে। আমাদের হেড অফিস এটা নিয়ে কাজ করছে। তারা যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবেই আমরা কাজ করব। তবে বিষয়টি আসলে যেভাবে সামনে এসেছে সেরকম না। একটু জটিলতা হয়েছিল কাস্টমারের সঙ্গে। আমাদের এখান থেকেই কিন্তু সর্বোচ্চ সংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধন করেন।