২৭৪ রানে অলআউট পাকিস্তান চালকের আসনে বাংলাদেশ

5

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরাজের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানেই অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওভারে ১০ রান করে দিন শেষ করলো টাইগাররা।
গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। প্রথম দুই ওভারে তার সংগ্রহ করেন ১০ রান। বাংলাদেশ এখনও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে ২৬৪ রানে।
এর আগে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়। গতকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা ৩০ মিনিট আগে শুরু হয়। যেখানে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব। তবে দীর্ঘদিন পর ইনজুরি থেকে ফেরা তাসকিন এই জুটিকে ভাঙলেন নিজের প্রথম ওভারেই। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিনের বলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিক।
শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। বাংলাদেশর বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৫৪ বলে আজ অর্ধশতক তুলে নেন প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ শান মাসুদ। প্রথম সেশনে ৯৯ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান।
তবে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে মিরাজের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন অর্ধশতক তুলে নেওয়া পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। আউট হওয়ার আগে করেন ৬৯ বলে ৫৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি।
শান মাসুদের বিদায়ের পর অর্ধশতক তুলে নেন সাইম আইয়ুবও। তবে মিরাজের বলে স্ট্যাম্পড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আইয়ুব। আউট হওয়ার আগে করেন ১১০ বলে ৫৮ রান।
মিরাজের জোড়া আঘাতের পর তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌদ শাকিল।
সৌদ শাকিলের বিদায়ের পর জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। জুটি গড়ে চা পানের বিরতির আগের সময়টুকু নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিচ্ছিলেন তারা। তবে চা বিরতির মাত্র এক ওভার আগে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাবর আজম। আউট হওয়ার আগে করেন ৭৭ বলে ৩১ রান। তার বিদায়ে ১৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান।
চা বিরতি থেকে ফিরে আগা সালমানকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি নাহিদ রানা। নাহিদ রানার বলে স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান রিজওয়ান। তার বিদায়ে ২১১ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। রিজওয়ানের বিদায়ের পর জুটি গড়েন আগা সালমান ও খুররাম শেহজাদ। এই জুটিও ব্যর্থ হয় বেশিদূর যেতে। দলীয় ২৩৬ রানে খুররাম শেহজাদের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ৪১ বলে ১২ রান করা খুররাম শেহজাদ মিরাজের বলে মিড অফে সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
খুররাম শেহজাদের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ আলি। মিরাজের চতুর্থ শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ২৪৬ রানে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
২৪৬ রানে ৮ উইকেট হারানোর আবরার আহমেদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন আগা সালমান। সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদের পর তিনিও তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তবে আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাসকিনের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৯৫ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফির যান আগা সালমান।
আগা সালমানের বিদায়ের ঠিক পরের বলেই আবরার এগিয়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন মিরাজকে। ব্যাটে বলে হয়নি। বল লিটনের হাতে জমা পড়তেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প। পূর্ণ হয় মিরাজের পাঁচ উইকেট। পাকিস্তান থামল ২৭৪ রানে। বাংলাদেশর হয়ে মিরাজ ৫ টি, তাসকিন ৩ টি, নাহিদ রানা ১ টি ও সাকিব ১ টি করে উইকেট নেন।