হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী সিজেকেএস প্রিমিয়ারে রেকর্ড

4

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ১১ ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ শিরোপা নিজেদের ঘরে রেখে দেওয়া নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। হ্যাটট্রিক শিরোপা অর্জনের পথে এদিন চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে ৪৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেসি লাল। গতকাল শনিবার (১১ মে) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী বনাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র লালের খেলাটি দুই দলের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম আবাহনী জিতলেই চ্যাম্পিয়ন, অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা জিতলে চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে থাকবে তারাও। কিন্তু দু’দলের এই লড়াইটি নির্দিষ্ট সময় সকাল ৯ টার দুই ঘন্টা পরও শুরু হয়নি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতায়। ম্যাচের আয়ু কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৪০ ওভারে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে নিজেরা ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু সেটি বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় দলের প্রথম চার ব্যাটারের দ্রæত আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। ফলে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৫ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান দুই জাতীয় তারকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মুমিনুল হক সৌরভ। ৮৪ রানের জুটি গড়ার পথে তারা আক্রমণাত্মক মানসিকতায় ব্যাটিং করেন। বিশেষ করে সৈকত একের পর এক ছয় হাঁকিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ইনিংসকে হৃষ্টপুষ্ট করতে থাকেন। সৈকত আউট হওয়ার আগে ৬৪ বলে খেলেন ৮১ রানের ইনিংস। যেটি সাজানো ছিল ৩টি চার আর ৭টি বিশাল ছয়ে। সৈকতের আগেই ৩১ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান সৌরভ। এরপর আবারও ছন্দপতন হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর। অধিনায়ক জীবন ১৬ বলে ২২ এবং হান্নানের ১১ বলে ১৫ রানের বদৌলতে চট্টগ্রাম আবাহনী পায় ২০৯ রানের স্কোর।
জবাব দিতে নেমে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে মুক্তিযোদ্ধা। সেখান থেকে দলীয় অধিনায়ক রিপন এবং জাওয়াদ রোয়ান মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৬৫ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন রিপন। রিপনের জায়গায় ইনজামাম এসে রোয়ানের সাথে জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন। বিশেষ করে রোয়ান খেলছিলেন দলের চাহিদানুযায়ী। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক আবু বক্বর জীবনের স্পিন বিষে নীল হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩৫.১ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায়। জীবন ৩৫ রানে নেন ৫ উইকেট, মোসাদ্দেক ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। মুক্তিযোদ্ধার জাওয়াদ রোয়ান ৭৭ বলে ৮ চার আর ৩ ছয়ে ৬৭ রান করেন। রিপনের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৯ রান। এছাড়া, ইনজামাম করেন ৩৫ রান।