হালদায় দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম

10

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় মা-মাছ নমুনা ডিম ছাড়লেও হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীদের হতাশ করেছে। গত সোমবার বিকাল থেকে ডিম সংগ্রহকারীদের জালে নমুনা ডিম উঠতে শুরু করলেও পুরোদমে ডিম পাওয়া যায়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা, জালসহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে হালদা নদীর বিভিন্ন স্পটে নমুনা ডিম সংগ্রহ করেন। তবে, নুমনা ডিমের পরিমাণ ছিল একেবারেই কম। সংগৃহীত নমুনা ডিমের পরিমাণ ছিল নৌকা প্রতি ১০০-২০০ গ্রাম। রাতে ভাটার সময় পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে, এমন আশায় রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ডিম সংগ্রহকারীরা অপেক্ষা করেন। এরপর তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন।
হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, নমুনা ডিম ছাড়লেও পরিমাণ অনেক কম। আমরা প্রায় সারারাত নদীতে অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু মা-মাছ রাতে পুরোদমে ডিম ছাড়েনি। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ায় নদীর দুই পাড় হাটহাজারী ও রাউজান অংশের শত শত ডিমসংগ্রহকারী নৌকা, জাল ও ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত ছিল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর এবং হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, গত কয়েকদিন আগে পূূর্ণিমার জো শেষ হয়েছে। তবে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মা-মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। তবে, ডিমের পরিমাণ খুবই কম। যদিও সোমবার সারারাত হালদা নদীতে ডিম সংগ্রহকারীরা অপেক্ষা করার পর হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নাই। আগামী জুন মাসের ২-৮ তারিখ অমাবস্যার এবং ১৯-২৫ তারিখ পূর্ণিমার জো রয়েছে। ধারণা করছি জুন মাসের জোগুলোতে পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে মা-মাছ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ মে অমাবস্যার জোতে নমুনা ডিম ছাড়ে মা-মাছ। সে সময় ডিমের পরিমাণ ছিল বেশি। হাটহাজারী ও রাউজান অংশে ৩ শতাধিক নৌকা নিয়ে ১৬০ বালতি অর্থাৎ ১৬০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছিলেন শত শত ডিম সংগ্রহকারী। ডিমগুলো হ্যাচারিতে পরিস্ফুটনের মাধ্যমে রেণুতে পরিণত করে প্রতি কেজি বিক্রি হয় দেড় লাখ টাকায়।