হামাসের সামরিক শাখার প্রধান দেইফ নিহত

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ১৩ জুলাইয়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী বলেছে, ‘আমরা এখন নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, মোহম্মদ দেইফকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে’।
গাজার খান ইউনুস নগরীর একটি কম্পাউন্ডে দেইফকে নিশানা করে ১৩ জুলাইয়ে হামলা চালানো হয়। খবর বিডিনিউজের
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের পর এটি এখন নিশ্চিত করে বলা যায় যে, ১৩ জুলাইয়ের হামলায় মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন। তবে হামাস এখনও দেইফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানায়নি। আল-জাজিরা হামাসের একজন সদস্য ইজ্জাত আল রাশক এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, দেইফ হত্যার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ইসরায়েলের ভাষ্য, তাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গতবছর ৭ অক্টোবরে হামাসের যোদ্ধাদের হামলায় ১২০০ মানুষ নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করার ঘটনার পরিকল্পনাকারী ছিলেন দেইফ।
ওদিকে, হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া বুধবার ইরান সফরের সময় নিহত হন। তার মৃত্যু নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য এখনও করেনি ইসরায়েল। গতবছর অক্টোবরের হামলার পর হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯ হাজার ৪৮০ জন নিহত হয়েছেন।
১৩ জুলাই বিমান হামলায় ৯০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। তবে নিহতদের মধ্যে দেইফ ছিলেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি হামাস। মোহাম্মদ দেইফ হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন। কয়েক দশক ধরে দেইফ ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সাতবার হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান তিনি।