হাটহাজারীতে থানাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর, আহত ১০

9

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেওয়ার পর ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী আনন্দমিছিল ও উল্লাস পরবর্তী পুলিশের গুলিতে তারা আহত হন।
সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আনন্দমিছিল ও উল্লাসের এক পর্যায়ে একদল বিক্ষুব্ধ লোকজন হাটহাজারী মডেল থানার মূল ফটক ভেঙে কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে প্রথমে ইট পাটকেল ছুড়ে গলাস ভাঙচুর করে। এরপর তারা কম্পাউন্ডে এর ভিতরে রাখা পুলিশের একটি সাজোয়াজান (এপিসি), একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ হ্যান্ডমাইকে বারবার বিক্ষুব্ধদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারপরও বিক্ষুব্ধরা ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় হামলা চালাতে থাকলে থানা পুলিশ তাদের ভবনের উপর থেকে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়ে। ওই সময় বিক্ষুব্ধরা পিছু হটলে পুলিশ থানার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছুড়লে পুলিশের গুলিতে ৬ জনসহ মোট ১০ জন আহত হন। আহতরা হলেন সিএনজিচালক মো. জামাল (৫০), মো. সিয়াম (১৬), মো. সিনাত (১৯), মো. নিহান (১৬), রশ্মি আক্তার (২৬), মো. জাহাঙ্গীর (২০)। আহত ৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে অন্য চারজনের পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আহতদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মেডিকেল অফিসার ডাক্তার দিল আফরোজ।
তিনি জানান, পুলিশের গুলিতে আহত ৬ জনকে স্থানীয় জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে আসে। এরমধ্যে আহত তিনজনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সিএনজিচালক মো. জামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা পরিষদে বিক্ষুব্ধরা প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর পরবর্তী পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এবং গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করার খবর পাওয়া গেছে।