হযরত মওলানা সৈয়দ আমিরুজ্জমান শাহ্ (ক.)

2

মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম

বার আউলিয়ার দেশ নামে খ্যাত চট্টগ্রামের এ পটিয়া উপজেলায় এককালে সমাবেশ ঘটেছে অসংখ্য পীর বুজর্গের। এতদাঞ্চলে গড়ে উঠেছে সুফী মতবাদের উর্বর ও অনুকূল ক্ষেত্র রূপে। মধ্যযুগীয় নৈরাজ্য, অরাজকতা এবং নৈতিক আধ্যত্মিক অচলতার মধ্যে এসব সুফী সাধকগণ গভীর ¯্রষ্টাপ্রেম, দৃঢ়, চরিত্রবল এবং বিশাল ব্যক্তিদের প্রভাবে অধ:পতিত সাধারণ মানুষকে বিকারমুক্ত সহজ সরল ও পরিচ্ছন্ন জীবন গঠনে অনেকটা প্রভান্বিত করেছেন।
এদেশে ইসলামের পবিত্র ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে ধর্ম প্রচারে উদ্দেশ্যে যে সকল অলি আউলিয়া, সুফী দরবেশ জন্ম গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে হযরত আমিরুল আউলিয়া শাহ্ আমিরুজ্জমান (র.) বার আউলিয়ার মধ্যে অন্যতম। একজন অনন্য সফল সমাজ সংস্কারের আদর্শ হবার উজ্জ্বল বৈশিষ্ট সমৃদ্ধ মহান এ অলি আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। তাঁর মাজার শরীফ পটিয়া পৌর সদরে ৯নং ওয়ার্ডে গোবিন্দারখীল গ্রামের প্রখ্যাত ধর্মপ্রাণ মহাসাধক হযরত মওলা চাঁদ (র.) এর পবিত্র ঔরষজাত সন্তান। তিনি ১ চৈত্র ১২৫২ বাংলা, ১২ জিলক্বদ ১২৬৫ হিজরী ১৮৪৫ সালের কোন এক বৃহস্পতিবার উক্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বলে সাংবাদিক এস.এম.এ.কে. জাহাঙ্গীরের প্রকাশিত ‘পটিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ গ্রন্থ সূত্রে প্রকাশ। যিনি কঠোর ত্যাগ-তিতিক্কা রেয়াজত ও সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ এবং হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ মাও: আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) এর অন্যতম প্রধান খলিফার মর্যাদা লাভ করেছিলেন। কথিত আছে যে, তিনি কোন দিন মাইজভান্ডার শরীফ থেকে তাঁর মুর্শেদকে পেছনে রেখে বাড়ি ফিরতেন না। ফিরতেন তাঁকে সামনে রেখে পিছু হেঁটে। তাছাড়া জনশ্রুতি আছে যে, তিনিই সর্ব প্রথম মাইজভান্ডার শরীফে দপ বাজিয়ে জিকির মাহফিলের সূত্রপাত করেন। সাপ্তাহিক ইশতেহারের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত এ মহান সাধক সম্পর্কে এক মন্তব্যে তিনি তাঁর কার্যাবলীর মাধ্যমে খোদা প্রেমের যে অনন্য নজিরাদি স্থাপন করেছেন তাঁকে মাইজভান্ডারী ত্বরিকতপন্থীদের নিকট তিনি এ তরীকায় বু-আলী কলন্দরের আমলে সমাসীন বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
হযরত মওলানা আজিজুল হক শেরে বাংলাও (র.) দীওয়ানে আজিজ গ্রন্থে তাঁর মহিমা কীর্তন করেছেন। তাঁর একটি কালাম আছে, সেটি হচ্ছে ‘হাবিবে রহমান মেরে বাবাজান ছাহেবে সোলতান আমিরুজ্জমান’ তা তাঁর শিষ্য ও ভক্ত অনুরক্তরা আজো অত্যন্ত আদরের সাথে পাঠ করেন যা জীবদ্দশায় তিনি নিজেও জপতেন।
মওলানা সৈয়দ ফৌজুল আজিম শাহ্ আমিরী কর্তৃক গ্রন্থকারে এবং দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবু তালেব বেলাল কর্তৃক সম্পাদিত ‘আদরের কালা সোনা’ গ্রন্থে তাঁর অসংখ্যা কারামতের কাহিনী বর্ণনা রয়েছে তার মধ্যে।
১. আমিরুল আউলিয়া (ক.)’র বেলায়েতের নজর দানে মরিয়মের জীবন দান নুরুদ্দীন ফকির ও হযরত আমিরুল আউলিয়া (ক.) ’র ওজর পানি- ২. পটিয়া থেকে আমিরুল আউলিয়া মাইজভান্ডার শরীফে তথা পীরের খেদমতে পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করতেন, হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) সেদিন হযরত আমিরুল আউলিয়া (ক.) কে বেলায়ত ওজমা প্রদান করে নিজ এলাকায় ত্বরিকত প্রচারের নির্দেশ দেন। সেদিনও তিনি স্বীয় মুর্শীদকে সামনে রেখে পিছু হেঁটে মাইজভান্ডার থেকে পটিয়া আসেন। ৩. অদৃশ্য থেকে বর্শা নিক্ষেপে ভল্লুকের আক্রমন থেকে শিষ্যকে রক্ষা। ৪. জবে হওয়া পশু পূণরায় জীবিত করা। ৫. পুরুষ নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা। ৬. পায়খানা হতে আন্টি উত্তোলনের ঘটনা। ৭. বেলায়েত ওজমার প্রভাবে মৌলানা আবদুর রশিদ এর জীবনের গতি পরিবর্তন। ৮. হযরত আমিরুল আউলিয়া (ক.) কে পটিয়া থানায় নিয়ে বুজুর্গীর পরীক্ষা। ৯. হযরত আমিরুল আউলিয়া (ক.)’র ব্যতিক্রম চলা ভক্তগণ (পাগলা দল)। ১০. লাঠি দিয়ে মাটিতে আঘাত পূর্বক মৃত শিশুকে জীবন দান। ১১. হযরত আমিউল আউলিয়া (ক.)’র পবিত্র চাদর মোবারক টুকুরো করে বন্টন। ১২. ‘২রা শাওয়ালের রোজা’ আমিউল আউলিয়ার ভক্ত মুরিদের ইমানী পরীক্ষার সবক। ১৩. আমিরুল আউলিয়া (ক.)’র ছোট ভাইকে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী (ক.) কর্তৃক বটের ছায়ায় প্রেরণ।
আমিরুল আউলিয়া (ক.)’র ভবিষ্যত বাণীর মধ্যে আরো একটি বা রয়েছে- ‘অবিরত যাইও পীরের দরবারে সই অন্তরে, প্রেমের তালা খোলা রাখব সপ্তায় একদিন বুধবারে’। আমিউল আউলিয়া (ক.)’ কে কোন পর্যায়ে বা কি হিসেবে হযরত কেবলা (ক.) জানতেন তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ আমিরুল আউলিয়া (ক.)’ একটি স্ব-লিখিত কালাম উল্লেখ করার উত্তম হবে কালামটি হচ্ছে-
‘তুমি সেই, আমি সেই, তুমি আমি এক-
যে পাইবে জ্ঞান আঁখি সে বুঝিবেক।’
মুর্শিদের প্রতি ভক্তির নমুনা হিসেবে আমিরুল আউলিয়া (ক.) আরো একটি পরিচয় লাভ করে। আর তা হল, তিনি যতবার পীরের দরবারে যেতেন পটিয়া থেকে হেঁটে যেতেন এবং আসার সময় হেঁটে হেঁটে আসতেন। শুধু তাই নয়, তিনি হেঁটে আসতেন উল্টো ভাবে। অর্থাৎ পীরকে সামনে রেখে পিছন হয়েই হেঁটে আসতেন, যাতে পীরের প্রতি পূর্ণশ্রদ্ধা রক্ষা হয় এবং বেয়াদবী না হয়। আমির ভান্ডার শরীফে মুখপাত্র মুক্তির দর্শন প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক সৈয়দ ফখরুদ্দীন শাহ্ (ম.জি.আ.) গণকে হযরত আমিরুল আউলিয়া এক জীবন্ত কিংবদন্তী। অজস্র কারামতে রুহী প্লাবনে প্লাবিত করেছেন। আল্লাহ ও আল্লাহ রাসুলের পথে টেনে ধন্য করেছেন। এ বিস্তৃত অঞ্চলে জনমানবকে কিংবদন্তী এ মহান অলির অগণিত কেরামতের মাঝে যে কারামতের কারিশিমা এতদ অঞ্চলের জনগণের মুখে মুখে শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয়। তিনি একদিন মজলিশে উপস্থিত মুরিদ ভক্ত অনুরক্তবৃন্দদের সামনে এ কথা বললেন যে, আমি দুনিয়াতে এমন একটা কাজ করে যাচ্ছি যে, যা কেউ করে নাই। আমি জীবদ্দশায় আমার মাজার তৈয়ারী করেছি। আমাকে রাখার জন্য তাবুত (গাছের পাত্র) তৈয়ারী করেছি। সেই তাবুতের পেছনে দিকে দরজার ন্যায় খোলা রেখেছি। যাতে করে এ দরজা দিয়ে কফিন সহজে ঢুকানো যেতে পারে। তাবুতের দক্ষিণ দিকে আয়না লাগিয়েছি যাতে করে আমার অনেক ভক্তবৃন্দ আমাকে যে কোন সময় দেখতে পারে। কোন ভক্তের বাড়ি কিংবা অন্য কোথাও যদি কেউ নিতে চাই, কফিন সহ আমাকে নিতে পারবে। সেই জন্য তাবুতে চাকা লাগানো হয়েছে যা টানলে গাড়ির মত করে চলবে। পথে যদি খাল বা জলাশয় থাকে তাহলে উক্ত তাবুতে দু’পাশের দু’চারটি হুক লাগানো হয়েছে। যাতে কাঁদে করে পার করা যায়। কাজ শেষে পুনঃরায় তাবু যথাস্থানে রেখে দিতে পারে। আমার দেহ থেকে যেদিন প্রাণ বের হয়ে যাবে ঐ দিন তাবুতে দুই পাশে আমার দেহখানি রাখা হবে। জানাযা শেষে আমাকে আমার ঘরের ছাদের উপর কফিনসহ ছয় মাস রেখে দেবে। যদি তা সম্ভব না হয় তিন মাস রাখবে। অন্যথায় এক মাস। তাও যদি সম্ভব না হয় ছয় দিন রাখবে।
এই ঘটনাটি মাইজভান্ডারী ত্বরীকতের বিশিষ্ট শিষ্যরা অবশ্যই জানেন এবং না জানার কথা নয়। আমিরুল আউলিয়া (ক.)’র কষ্ট, সাধনা ও ত্যাগ ছিল বর্ণনা অতীত। তাই তো তিনি তাঁর কালামে নিজকে প্রথমে প্রশ্ন করেন- হীন আমিরুজ্জমান তুমি ওলি (আউলিয়া) হইলা কেন? আবার নিজেই জবাব দিচ্ছেন- এত কঠিনতা তোর পরীক্ষার করণে।
হযরত গাউছুল আজম আমিরুল আউলিয়া (ক.)কে বিশেষ ছবক দ্বারা খেলাফত প্রদান করে বিদায় দেওয়ার পর বীনাজুরি খাল দিয়ে মাইজভান্ডারে যাওয়ার জন্য হযরত কেবলা (ক.) সেখানে বাহক সহকারে পালকি প্রেরণ করতেন কেবল (তাঁর) আদরের কালা সোনাকে তাঁর সান্নিধ্যে আনার জন্য। কালা সোনাও এটা ব্যবহার করতেন অতি আদরের সাথে। তিনি কোনদিন ঐ পালকিতে পা তুলে বসেনি। কেবল মুর্শিদের হুকুম পালনার্থে তার দেহের উপরিভাগ পালকিতে রাখতেন এবং নিম্নাঙ্গ পা দু’খানা ঝুলিয়ে রেখে হযরত কেবলার দরবারে যেতেন।
১৯২৭ সালে এই মহান অলি পরলোক গমন করেন। তার জানাজায় নামাজের নির্ধারিত সময়ে লোকজন আমির ভান্ডার হুমাড়িয়া বিলে জমায়েত হল এবং জানাজায় নামাজে ইমামতির প্রস্তুতি সন্ধিক্ষণে বড় মিয়া অর্থাৎ হযরত সৈয়দ সোলাইমান শাহ্ (ক.) স্বীয় আব্বাজানের প্রতি অতি ভক্তির কারণে কাঁপতে কাঁপতে হঠাৎ বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। অত:পর নামাজের ইমামতি করেন চন্দনাইশের সাতকানিয়া নিবাসী হযরত আমিরুল আউলিয়ার প্রধান খলিফা হযরত মৌলানা আবদুর রশিদ শাহ্ (র.)।
আমিরভান্ডার শরীফের নামে প্রতিষ্ঠিত তার স্মৃতিগাহ এদেশের আধ্যাত্বা-সাংস্কৃতিক জগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম দরবার হিসেবে পরিগণিত লাভ করেছে। প্রতি বৎসর ১লা মাঘ তাঁর এ দরবারে পবিত্র বার্ষিকী ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর সাত সন্তান ১) হযরত মাওলানা সৈয়দ সোলায়মান শাহ্ (র.) ২) হযরত মাওলানা সৈয়দ খলিলুর রহমান শাহ্ (র.) ৩) হযরত আল্লামাা সৈয়দ হাবিবুর রহমান শাহ্ (র.) ৪) হযরত মাওলানা সৈয়দ ডা: মোজাহেরুল হক শাহ্ (র.) ৫) হযরত মাওলানা মাছুম লোকমান হাকিম (র.) ৬) হযরত আল্লাসা সৈয়দ হারুনু রশিদ শাহ্ (র.) ৭। হযরত মাওলানা সৈয়দ মাছুম শাহ্ অলি উল্লাহ (র.) এর মধ্যে আজ কেউ বেঁচে নেয়। তাদের সবাই কামালিয়াত হাছিল করে নানা স্তরে উপনীত হয়েছেন। এই মহান সাধকের নামে দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১. আমিরুল আউলিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাস। ২. আমির ভান্ডার সোলায়মানিয়া এততেদায়ী মাদ্রাসা ৩. শাহ্ আমির উচ্চ বিদ্যালয় ৪. শাহ্ আমির প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫. শাহ্ আমিরজ্জমান কিন্ডার গার্টেন ৬. কুমিরা গাউছিয়া আমিরুল আউলিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ৭. আনোয়ারা খাসখামা আমিরুল আউলিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ৮. পটিয়া আমির ভান্ডার বশরিয়া এতিমখানা সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁর মাজার শরীফে এসে প্রতিদিন শত শত ভক্ত অনুরক্ত আশেকান ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ আসে নানা সমস্যা রোগব্যাধী, আসার নিয়ত, মানত দোয়া লাভ ও রুহানী ফয়েজ লাভের আশায়। বিশেষ করে প্রতি বুধবার তাঁর মাজারে বেশি ভীড় জমায় ভক্তরা। বার্ষিক ওরশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
সভাপতি শাহজাদা শামুন রশিদ আমির বলেন ভক্ত ও অনুরক্তদের আর্থিক সহায়তায় বড় মাজার শরীফের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ ও ভক্তদের সহায়তায় পটিয়া থানার মোড়ে দৃষ্টিনন্দন একটি তোরণ নির্মাণ করেন। শাহজাদা ফখরুদ্দিন আমিরী সম্প্রতি নতুন একটি হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি ওরশ উপলক্ষে প্রতি বছর বিশেষ ক্রোড়পত্র ম্যাগাজিন ও দৃষ্টিনন্দন ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে থাকেন। তাছাড়া ফৌজুল আজিম শাহ্ পরিবারবর্গ ও শাহজাদা শহীদ শাহ্ আমিরী এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। প্রতি বছর দরিদ্রের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয় দরবারের পক্ষ থেকে এবং গোসল শরীফের দিন প্রতি বছরই রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। এই অলির নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান হেফজখানা, এতিমখানা পরিচালিত হয়ে আসছেন। আমির ভান্ডার কমপ্লেক্সের সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ তৌহিদ শাহ্ আমিরী বলেন- আমিরুল আউলিয়ার দরবারে এসে ভক্ত, মুরিদানগণ হৃদয়ের প্রশান্তি অনুভব করেন, তাহা মাওলা পাকের তরফ থেকে এ অনবদ্য দান। এতে সারাদিন খতমে কোরআন, মিলাদ, ছেমা, জিকির মাহফিল, জেয়ারত সহ বিশে^র মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পটিয়ার স্বনামধন্য শিল্পপতি ও অন্যান্য ভক্তদের আর্থিক সহায়তায় বর্তমানে নতুন ভাবে নানন্দিক মাজার শরীফের কাজ চলমান রয়েছে। ওরশের দিন সব দরবারের পক্ষ থেকে একই সময়ে যদি ওরশে আগত ভক্তবৃন্দের জন্য তবরুকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিজ্ঞ মহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
আল্লাহ্তায়ালা আমদেরকে এই আউলিয়া রুহানী ফয়েজ লাভ করার সুযোগ দিন। আমিন।
লেখক: সভাপতি, পটিয়া প্রেস ক্লাব