হত্যা ও শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা চবি শিক্ষকদের

3

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে ৫৪ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো ৩ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কিছু দিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ২০০ জনের অধিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।
পাশাপাশি বর্তমানে আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে দমনপীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। দমনপীড়নের এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিনজন ছাত্র- আল- মাশনূন, দ্বিতীয় বর্ষ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, সায়হাম মাহমুদ, নাট্যকলা বিভাগ ও রমজান শেখ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ১ম বর্ষকে গ্রেপ্তার/আটক বা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এদের ছাড়াও আরো কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।
আমরা বিশ্বাস করি, চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সাথে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি সব রকম পুলিশি হয়রানীর নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
পাশাপাশি, আমরা চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সকল হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড, গণগ্রেপ্তার ও হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যেই হোক না কেন সকল হত্যাকারীকে দ্রæত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক/ গ্রেপ্তারকৃত ছাত্ররাসহ দেশের সকল নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।