হত্যার আসামি জামিনে এসে আরেকজনকে খুন

16

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় ২০১৬ সালে আলোচিত কপিল উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি মোকতার হোসেন। তিনি জালাল উদ্দীন নামে আরেক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। গতকাল রবিবার সকাল ৬টার দিকে বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
নিহত জালাল উদ্দিন জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আলতাফ মুন্সির ছেলে। জালাল পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় মোকতার হোসেনের পিতা ছৈয়দ আহম্মদকে (৬২) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রাত নয়টায় জালাল উদ্দীনের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে বলে জানান জালালের পরিবার।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মোকতারসহ অন্যরা ২০১৬ সালে কপিল উদ্দিন নামে এক যুবককে রাতের আধারে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৮ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে বের হয়ে একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চৌকিদার মো. মহিউদ্দিন জানান, রবিবার ভোরে জালালসহ আমি কালাবিবির দীঘির মোড়ের আড়ৎ থেকে মাছ আনতে যাচ্ছিলাম। এ সময় মনু মিয়ার দীঘির সামনে তারা আমাদের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় জালাল গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তারা তাকে ধরে কুপিয়ে হত্যা করে। মোকতার হোসেন, বদরুজ্জামানের ছেলে নুর হোসেন, জাকিরসহ আরও ১০/১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এ হত্যাকান্ড ঘটায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের বলে গাড়ি থেকে নামলে তোদেরও কুপিয়ে ফেলব।
নিহত জালালের বড় ভাই জামাল উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত মোকতার হোসেন, নুর হোসেন, জাগিরসহ কয়েকজন জালালের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে জালাল আদালতে মামলা করেন। এলাকায় তাদের চাঁদাবাজি, ইয়াবা বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অপকর্মের বাঁধা দেওয়ায় তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই।
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জালাল ও মোকতারের মধ্যে বিরোধ ছিল। এতে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।