নিজস্ব প্রতিবেদক
সদ্য যোগদান করা জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেছেন, ‘পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম একেবারে ভেঙে পড়েছিল। আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরাতে চেষ্টা করছি। এর মধ্যে অনেক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক করতে জনগণ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। যেকোনো তথ্য ও পরামর্শ দিতে যে কেউ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ষোলশহর ২নম্বর গেট এলাকার কার্যালয়ে চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘থানায় সেবার মান বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা চাই। আমরা সাধারণ ডায়েরি করি, সেখানে হয়তো এক ঘণ্টা লাগে, আধঘণ্টা লাগে। কিন্তু আমরা চাই কুইক রেসপন্স করতে। সবগুলো সেবা প্রদানের সময় যেন আমরা কম সময়ে নিয়ে আসতে পারি। আমরা কুইক রেসপন্স করার বিষয়ে কাজ করতে চাই। মামলার তদন্ত কোয়ালিটি নিশ্চিত
করতে চাই। যাতে বিচারের ক্ষেত্রে রেজাল্ট পাওয়া যায়। মাঠপর্যায়ে পুলিশ সার্ভিসের পরিবর্তন করতে কাজ করবো। যাতে সহজে দ্রুত পুলিশের সেবা নিশ্চিত করতে পারি।’
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৮৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৩৩টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। বাকি অস্ত্রগুলো দেশের অন্যান্য থানায় জমা দিয়েছেন কি-না সেটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অস্ত্র কয়টি জমা হয়েছে, তা জানা যাবে।’
এ সময় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) সুদীপ্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপরাশেন) আসাদুজ্জামানসহ চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
