স্বর্ণ ছিনতাইকারী সেই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রীবাহী বাসের গতিরোধ করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় পটিয়া পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ জেলা যুবদল।
গতকাল পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান। এর আগে শুক্রবার যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি দপ্তর নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মামুনুর রশিদ মামুনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারও আগে ভুক্তভোগী রুবেল কান্তি দাশ মামলাটি দায়ের করেন।
দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আজগর বলেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্দেশনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দলে কোনো ধরনের অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সবাই যেন নিজ থেকে সতর্ক হয়।
যুবদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার পটিয়া পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহব্বায়ক মামুনর রশিদ মামুনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের অপকর্মের কোন দায়-দায়িত্ব দল নিবে না এবং যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে মারধর করে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভুক্তভোগী কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল কান্তি দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে পটিয়া পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন ও তার সহযোগী মনিরকে আসামি করা হয়।
পটিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের রিদি গোল্ড ফ্যাশন নামের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। তাদের দোকানের কারিগর রূপন দাশ গত ২৭ আগস্ট ২১ ক্যারেটের ৬৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পূরবী পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিলেন। পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস ফারুকী পাড়া পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি নোয়াহ বাসটির সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর তারা বাসটিতে উঠে পেছনের সিটে বসা ছাত্রলীগকর্মী বলে স্বর্ণ কারিগর রূপন দাশকে টেনে-হিঁচড়ে ও মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলে। তখন বাসটি চলে যায় চট্টগ্রামের দিকে। এরপর তারা গলায় ছুরি ধরে রূপনকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে ২১ ক্যারেটের ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা সবখানে জানাজানি হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যুবদল নেতা মামুন ও তার সহযোগী মনিরকে শনাক্ত করে পটিয়া থানা পুলিশ।